শেষ আপডেট: 12th August 2023 07:05
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বিজেপি শাসিত মণিপুরে জাতিদাঙ্গায় খুন হয়েছেন ১৬০ জন। বিজেপি শাসিত আর এক রাজ্য উত্তর প্রদেশে পুলিশের (Yogi Police) গুলিতে নিহত হয়েছন ১৮৩জন। যদিও নিহতের এই সংখ্যা গত পাঁচ বছরের।
কিন্তু দেশে মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকা, এমনকী জম্মু-কাশ্মীরের মতো অশান্ত অঞ্চল তো নয়ই, বিশেষ কোনও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রেই পুলিশের গুলিতে এত মানুষের মৃত্যুর নজির সাম্প্রতিককালে নেই। একটি মামলায় পুলিশের হাতে (Encounter Killing) এত মানুষের মৃত্যুতে বিস্ময় প্রকাশ করে শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) উত্তর প্রদেশ সরকারের কাছে ১৮৩টি সংঘর্ষে নিহতের ঘটনার বিস্তারিত রিপোর্ট তলব করেছে।
গত ১৫ এপ্রিল লখনউয়ে কুখ্যাত গাংস্টার আতিক আহমেদ ও তার ভাই আশরাফ আহমেদকে একটি হাসপাতালে চত্ত্বরে খুন করে অজ্ঞাত পরিচিত দুষ্কৃতীরা। দুই গ্যাংস্টার ভাই তখন পুলিশের হেফাজতে ছিল। জেল থেকে তাদের হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।
আতিকের নিকটজনেরা ওই হত্যাকাণ্ড নিয়ে উত্তর প্রদেশ পুলিশ ও রাজ্য সরকারকে পার্টি করে মামলা দায়ের করেছে। তাদের বক্তব্য, পুলিশ হেফাজতে থাকা আসামীদের কী করে বহিরাগত দুষ্কৃতীরা খুন করতে পারল? পুলিশ কী করছিল? প্রসঙ্গত, ওই ঘটনার আগের দিন পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে খুন হয় আতিকের বড় ছেলে। সেই শোক কাটিয়ে ওঠার আগেই খুন হয়ে যায় আতিক।
এই মামলায় আতিকের আইনজীবারা পুলিশের সঙ্গে এনকাউন্টারে মৃত্যুর ঘটনাগুলি তুলে ধরে অভিযোগ করেন উত্তর প্রদেশে পুলিশই বিচার ব্যবস্থার শেষ কথা হয়ে উঠেছে। বিচারালয়ে বিচারের পরিবর্তে পুলিশই অপরাধীদের চিরদিনের জন্য সরিয়ে দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: বিজেপির পঞ্চায়েতে রাজ সম্মেলনে হাওড়ায় সশরীরে নাড্ডা, ভার্চুয়াল উপস্থিতি মোদীরও
বিচারপতি ভাট এরপর নিজেই প্রশ্ন তোলেন, অপরাধীকে সাজা দেওয়ার আইনি প্রক্রিয়া বিশদে ফৌজদারি আইনে বলা আছে, পুলিশ হেফাজতে আসামীকে কীভাবে সুরক্ষা দিতে হবে সে ব্যাপারে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, সুপ্রিম কোর্ট এবং একাধিক হাই কোর্টের নির্দেশিকা রয়েছে। তারপরও কীভাবে পুলিশের হেফাজতে থাকা আসামী খুন হয়ে যায়? পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষেই বা ১৮৩জন লোক খুন হয় কীভাবে?
বিচারপতি জানতে চান, খুন হওয়া আসামীদের জীবিতাবস্থায় ধরতে পুলিশ কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিল। এনকাউন্টার বা গুলি বিনিময়ে হত্যা না করে আর কোনও উপায়ে কব্জা ধরা যেত কি না।