শেষ আপডেট: 14th April 2023 11:07
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সম্প্রতি লিঙ্গসাম্য আইন এবং রূপান্তরকামীদের নিয়ে বিতর্কে উত্তাল ব্রিটেন। তার মাঝেই একটি সাক্ষাৎকারে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী (UK PM) ঋষি সুনকের (Rishi Sunak) দাবি, '১০০% মহিলাদেরই পুরুষাঙ্গ থাকে না।'
সম্প্রতি লিঙ্গভিত্তিক আইন (Gender Law) নিয়ে বিতর্কে উত্তাল ব্রিটেন। কোনও মানুষ, যিনি একটি নির্দিষ্ট লিঙ্গ পরিচয়ে জন্মগ্রহণ করেছেন, এবং যিনি লিঙ্গ পরিবর্তন করেছেন সেই সমস্ত ব্যক্তির ক্ষেত্রে লিঙ্গসাম্য আইনে (Equality Act) পার্থক্য আনার কথা বিবেচনা করছে ব্রিটিশ সরকার। সেই নিয়েই সম্প্রতি লেবার পার্টির প্রধান এবং ব্রিটেনের পার্লামেন্টের বিরোধী দলনেতা স্যার কিয়ার স্ট্র্যামার দাবি করেছিলেন, '৯৯.৯% মহিলাদের নিশ্চিতভাবেই পুরুষাঙ্গ থাকে না।' তার প্রেক্ষিতেই একটি সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকারের সময় ঋষি সুনককে প্রশ্ন করা হয়, 'আপনার মতে এটা কত শতাংশ?'
প্রশ্ন শুনেই প্রথমে হেসে ফেলেন ঋষি। এরপর তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয়, তাঁর মতে কি ১০০% মহিলারই পুরুষাঙ্গ থাকে না? এর জবাবে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'হ্যাঁ, অবশ্যই।'
তিনি আরও জানান, 'যাঁরা লিঙ্গ পরিবর্তনের কথা ভাবছেন, তাঁদের প্রতি আমাদের সবসময়ই সহমর্মিতা, বোঝাপড়া এবং সহনশীলতা থাকা উচিত।'
'কিন্তু যখন মহিলাদের অধিকার, মহিলাদের জায়গা রক্ষা করার কথা আসে, তখন আমার মনে হয়, জন্মগত লিঙ্গ পরিচয় মূলগতভাবে বেশি গুরুত্বপূর্ণ,' দাবি সুনকের।
সম্প্রতি ব্রিটিশ সরকার 'লিঙ্গ' বিষয়টির আইনি সংজ্ঞা পরিবর্তনের প্রস্তাব এনেছে। সেই সংশোধনীর 'সুবিধা কিংবা অন্য বিষয়'-এ পরামর্শ চেয়ে ইতিমধ্যেই সেখানকার সাম্য এবং মানবাধিকার কমিশনকে চিঠি লিখেছেন যুক্তরাজ্যের নারী ও সাম্য বিষয়ক মন্ত্রী কেমি ব্যাডেনচ। এই প্রসঙ্গেই ঋষি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, 'ওঁরা সাম্য আইন এবং জন্মগত লিঙ্গ পরিচয় বিষয়টি কীভাবে দেখা উচিত সে বিষয়ে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। আমরা সেটা বিবেচনা করে দেখছি।'
তিনি আরও জানিয়েছেন, 'কিন্তু এই সমস্ত প্রশ্নের ক্ষেত্রে জন্মগত লিঙ্গ পরিচয় মৌলিকভাবেই গুরুত্বপূর্ণ, সেটা ভুলে গেলে চলবে না। আর সেই কারণেই যখন মহিলাদের স্বাস্থ্য, মহিলাদের জায়গা কিংবা খেলাধুলোর প্রশ্ন আসবে, তখন সেই জায়গায় তাঁদের অধিকার রক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।'
’২৫ সালেই দিদির সরকার ফুসসস হয়ে যাবে! সিউড়িতে অমিত শাহী হুঙ্কার