শেষ আপডেট: 4th January 2025 19:38
নতুন বছরের ডায়েরি ও ক্যালেন্ডার দিয়ে শুভেচ্ছা জানানোর রেওয়াজ আছে তাই এখনও ক্যালেন্ডারের চাহিদা আছে। আর এই কারণেই আন্দুলের এই ছাপাখানায় ইংরেজি নববর্ষের ক্যালেন্ডার ছাপানোর কাজ চলছে জোরকদমে।
মহিয়ারী চূড়ামণি পাড়া এলাকার কোয়ালিটি আর্ট প্রিন্টার। এই ছাপাখানার বয়স ৬০ বছরেরও বেশি। এখনও পুরনো ছাপা যন্ত্র দিয়েই কাজ চলে সেখানে। ডিজিটাল প্রিন্টিং-এর থেকে অনেক কম খরচে ছাপার কাজ হয়। তাই অনেকেই এখনও আসেন চূড়ামণি পাড়ার এই ছাপাখানায়।
ছাপার জন্য যে অক্ষর ব্যবহৃত হয় তা এখন পাওয়া যায় না। তাই স্টকে এখনও পর্যন্ত যা অক্ষর আছে তাই দিয়েই ছাপার কাজ চালানো হচ্ছে এই ছাপাখানায়। তবে নতুন বছরেও অস্তিত্বহীনতায় ভুগছেন ছাপাখানার মালিক-শ্রমিক উভয়পক্ষই।
তাঁদের সকলেরই চিন্তা এইভাবে ছাপাখানা আর কতদিন চলবে বা কতদিন কাজ চালানো সম্ভব হবে। নতুন বছরে কাজ জোরকদমে হলেও এই আশঙ্কাই তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে তাঁদের। এই ছাপাখানার কাজে ৩০ বছর ধরে যুক্ত আছেন অশোক দাস। তিনি জানিয়েছেন, ৪ থেকে ৬ মাস এই কাজ করেন তিনি এবং বাকি সময় পাথর ভাঙ্গার কাজ করেন। সেই কারণে তাঁকে ভিন রাজ্যেও যেতে হয়। ছাপাখানা বন্ধের আশঙ্কা তাই গ্রাস করে তাঁকেও।
কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ নিয়ে মালিক ও কর্মচারী এইভাবেই চালিয়ে যাচ্ছেন ছাপার কাজ। ছাপাখানা যদি বন্ধ হয়ে যায় তাহলে চেনা শব্দটাও আর কানে আসবে না আশেপাশের মানুষের। তাঁরাও চান শেষের দিন যেন আরও দেরিতে আসে।