পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে তরুণীকে পর পর গুলি, নৃশংস খুনের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছাড়ল জঙ্গিরা
দ্য ওয়াল ব্যুরো: দশ সেকেন্ডের একটা ভিডিও। তাতেই ঘুম উড়েছে প্রশাসনের। জঙ্গি নাশকতা উপত্যকায় ব্যতিক্রম নয়। প্রকাশ্যে খুনের ভিডিও বহুবার সামনে এনে চ্যালেঞ্জ ছুড়েছে সন্ত্রাসবাদীরা। কিন্তু, এ বারের ঘটনা বর্বরতার সীমাকেও লঙ্ঘন করে গেছে।
বছর পঁ
শেষ আপডেট: 1 February 2019 18:30
দ্য ওয়াল ব্যুরো: দশ সেকেন্ডের একটা ভিডিও। তাতেই ঘুম উড়েছে প্রশাসনের। জঙ্গি নাশকতা উপত্যকায় ব্যতিক্রম নয়। প্রকাশ্যে খুনের ভিডিও বহুবার সামনে এনে চ্যালেঞ্জ ছুড়েছে সন্ত্রাসবাদীরা। কিন্তু, এ বারের ঘটনা বর্বরতার সীমাকেও লঙ্ঘন করে গেছে।
বছর পঁচিশের এক তরুণীকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে মারছে কয়েকজন অজ্ঞাতপরিচয় বন্দুকবাজ। গত মঙ্গলবার এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। ইতিমধ্যেই ভিডিওটা মুছে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট থেকে। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ জানিয়েছে, এখনও অবধি কোনও জঙ্গি সংগঠন এই ঘটনার দায় স্বীকার করেনি।
ভিডিওতে দেখা গেছে, হাঁটু গেড়ে বসে হাত জোড় করে প্রাণভিক্ষা চাইছে এক তরুণী। আততায়ীরা যদিও ভিডিওতে ধরা দেয়নি, তবে ভিডিও থেকে যেটুকু কথাবার্তা শোনা গেছে তাতে স্পষ্ট তরুণীর সামনেই তাকে ঘিরে দাঁড়িয়েছিল বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসবাদী। আচমকাই ছুটে এল গুলি, একবার, দু’বার, সেই সঙ্গে ফিনকি দিয়ে রক্ত। লুটিয়ে পড়েন তরুণী।
ভিডিও দেখে ওই তরুণীকে শনাক্ত করেছে পুলিশ। নাম ইসরাত মুনির। পুলওয়ামা জেলার দাঙ্গেরপোরা গ্রামের বাসিন্দা। পুলিশ জানিয়েছে, ওই তরুণী একসময় নিরাপত্তাবাহিনীতে কাজ করতেন। কিছুদিন আগে তাঁকে বাড়ি থেকে অপহরণ করে জঙ্গিরা। ভয় বা হুমকি, যে কারণেই হোক অপহরণের কথা পুলিশকে জানায়নি ইসরাতের পরিবার। সোপিয়ান জেলার জাইনাপোরার দ্রাগাদ এলাকা থেকে তরুণীর গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: প্রজাতন্ত্র দিবস কাটতেই কাশ্মীরের সেনা ক্যাম্পে জঙ্গি হামলা
তদন্তকারীদের কথায়, আল বাদর-এর কম্যান্ডার জিনাত-উল-ইসলামের আত্মীয় ছিলেন ইসরাত। গত বছর ডিসেম্বরে কুলগাম জেলার কাটসুতে এনকাউন্টারে মারা যায় জিনাত। এই নিয়ে তৃতীয় বার সোপিয়ানে প্রকাশ্যে খুনে ভিডিও সামনে এল। গত বছর নভেম্বর এমনই একটা ভিডিও হই চই ফেলে দিয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানেও দেখা গিয়েছিল একই ভাবে প্রাণভিক্ষা চাইছে বছর সতেরোর কিশোর নাদিন মানজুর। পরে তার ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয় সোপিয়ানেরই নিকলোরা গ্রাম থেকে। সোপিয়ানের হারমেন গ্রামের বাসিন্দা বছর উনিশের হুজেফ আশরাফ কুত্তেকে নিরাপত্তারক্ষীদের চর সন্দেহে বাড়ি থেকে অপহরণ করে সন্ত্রাসবাদীরা। পরে তাকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল।