শেষ আপডেট: 5th September 2023 04:40
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সুরক্ষিত নন খোদ পুলিশকর্মীও! চলন্ত ট্রেনের কামরায় দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হয়েছিলেন এক মহিলা পুলিশকর্মী। সূত্রের খবর, তাঁর মুখে একাধিক আঘাতের চিহ্ন ছিল, রক্তের স্রোতের মধ্যে পড়ে ছিল তাঁর অচৈতন্য দেহ Woman Cop Attacked On Train)। পরে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেই ঘটনায় মধ্যরাতেই আদালতের শুনানির ব্যবস্থা করলেন দুই বিচারপতির বেঞ্চ। সেখানে রাজ্য সরকার এবং রেলওয়ে, দুজনকেই কাঠগড়ায় তুললেন তাঁরা (Allahabad high Court)।
ঘটনাটি ঘটেছিল গত ৩০ সেপ্টেম্বর। সেদিন সরযূ এক্সপ্রেসের কামরায় এক মহিলা পুলিশকর্মীকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। রক্তে ভাসছিলেন তিনি। মুখ সহ সারা শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন ছিল। তাঁকে লখনউয়ের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল বলেই জানা গেছে। সেদিনই নিগৃহীতা পুলিশকর্মীর ভাই একটি এফআইআর দায়ের করেন। যদিও তাঁর পরিবার এবং পুলিশ উভয়েই জানিয়েছে, মহিলার সঙ্গে কোনও যৌন নিগ্রহের ঘটনা ঘটেনি।
ঘটনার পর তদন্তের দায়িত্বে থাকা আধিকারিক পূজা যাদব জানিয়েছিলেন, প্রয়াগরাজ জেলার বাসিন্দা ৪৭ বছর বয়সি ওই মহিলা হেড কনস্টেবলের পোস্টিং ছিল সুলতানপুর জেলায়। ঘটনার দিন তিনি 'শ্রাবণ মেলা'র ডিউটির জন্য সুলতানপুর থেকে অযোধ্যায় যাচ্ছিলেন। অযোধ্যা স্টেশনেই তাঁর নামার কথা ছিল, কিন্তু ট্রেনে ঘুমিয়ে পড়ার কারণে স্টেশন মিস করে যান তিনি। ওই কনস্টেবল মানকপুর নামে একটি রেলস্টেশনে পৌঁছে গিয়েছিলেন। ঘটনাটি অযোধ্যা ও মানকপুরের মধ্যে ঘটেছিল বলে জানিয়েছেন পূজা যাদব।
দুই বিচারপতির এই বেঞ্চ রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্সকে (আরপিএফ) 'তার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ' হওয়ার জন্য ভর্ৎসনা করেছে। সেই সঙ্গে সরকারি রেলওয়ে পুলিশকে (জিআরপি) আগামী ১৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে মামলার তদন্তের একটি স্ট্যাটাস আপডেট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
ঘটনার পর উতৎপ্রদেশ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা লখনউয়ের কিং জর্জ মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটিতে (কেজিএমইউ) আহত ওই মহিলা কনস্টেবলকে দেখতে যান। যদিও পুলিশ এখনও এই রহস্যের কিনারা করতে পারেনি। কারা কীভাবে ওই মহিলার উপর এমন নৃশংস হামলার চালাল, কেনই বা এমন ঘটনা ঘটল, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
ঘূর্ণাবর্তের ঘনঘটায় দুর্যোগের মেঘ বাংলার আকাশে, কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস