শেষ আপডেট: 17 November 2022 06:27
দ্য ওয়াল ব্যুরো: অস্ত্রোপচার করে জরায়ু বাদ দেওয়ার প্রয়োজন ছিল। সেই কারণে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ৩৮ বছর বয়সি রোগিণী। কিন্তু জরায়ুর বদলে তাঁর অনুমতি ছাড়াই কেটে নেওয়া হল তাঁর দুটি কিডনি (Kidneys Fraudulently Removed)! বিহারের ওই হাসপাতালের মালিক ও এক চিকিৎসকের (Bihar doctor) বিরুদ্ধে এমনই মারাত্মক অভিযোগ এনেছেন সুনীতা দেবী নাম ওই রোগিণী। শুধু তাই নয়, এরপরেই তদন্তে নেমে দেখা যায়, হাসপাতালটির লাইসেন্স অবৈধ (illegal) তো বটেই, অভিযুক্ত চিকিৎসকের যাবতীয় ডিগ্রিই ভুয়ো!
সুনীতা দেবী নামে ওই রোগিণী মুজফ্ফরপুরের বেরিয়ারপুর গ্রামের বাসিন্দা। গত ৩ সেপ্টেম্বর তিনি জরায়ুর অস্ত্রোপচারের জন্য স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন। কিন্তু সেখানে অস্ত্রোপচার হওয়ার পর থেকেই পেটের যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকেন সুনীতা। তাঁর শারীরিক অবস্থার ক্রমশ অবনতি হচ্ছে দেখে তাঁকে শ্রীকৃষ্ণ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়। সেখানকার চিকিৎসকরা তাঁকে পরীক্ষা করার পর জানান, সুনীতার জরায়ু বাদ তো দেওয়া হয়ইনি, উল্টে তাঁর শরীর থেকে দুটি কিডনিই বের করে নেওয়া হয়েছে!
এরপর তাঁকে পাটনা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়। কিডনি না থাকার কারণে বর্তমানে প্রতিদিন ডায়ালিসিস করানো হচ্ছে সুনীতার। এরপরেই ওই বেসরকারি হাসপাতালের মালিক পবন কুমার এবং ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন রোগিনীর পরিজনরা।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে হাসপাতালটি চালাচ্ছিলেন পবন কুমার। এছাড়াও অভিযুক্ত চিকিৎসকের ডাক্তারির সমস্ত ডিগ্রি জাল বলে জানা গেছে। ইতিমধ্যেই হাসপাতালটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত চিকিৎসককেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সংবাদমাধ্যমের দ্বারা বিহার সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন, অভিযুক্ত চিকিৎসকের দুটি কিডনি নিয়ে তাঁকে দেওয়া হোক। পাটনা মেডিক্যাল কলেজের তরফে জানা গেছে, সুনীতার অবস্থা সঙ্কটজনক। কোনও ইচ্ছুক ব্যক্তি কিডনি দান করতে চাইলে সুনীতার শরীরে তা প্রতিস্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন সেখানকার চিকিৎসকরা।
ভয়, লোভ দেখিয়ে ধর্মান্তকরণ আটকাতে আইন কঠোর করল উত্তরাখণ্ডের বিজেপি সরকার