বর্তমানে কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের ডিএ-র ফারাক কমে দাঁড়িয়েছে ৩৫ শতাংশ। এখন দেখার বুধবার সুপ্রিম শুনানিতে কী হয়।
ফাইল ছবি।
শেষ আপডেট: 14 May 2025 12:43
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কলকাতা হাইকোর্ট হয়ে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে ডিএ মামলা (DA Case)। কিন্তু মাসের পর মাস অতিক্রান্ত হলেও ডিএ মামলার শুনানি বারে বারে পিছিয়ে গিয়েছে। বুধবার দুপুর ২টোয় সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় করোল এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা।
তবে এ বারেও ডিএ মামলার শুনানি পিছিয়ে যাবে কিনা, তা নিয়ে সংশয়ে সরকারি কর্মচারীদের বিভিন্ন সংগঠন। কারণ, মামলাটি ফের পুরনো বেঞ্চে ফিরেছে। সেক্ষেত্রে মামলার ক্রমতালিকায় মেনে শুনানি হলে ডিএ মামলার শুনানি আবার পিছিয়ে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে পশ্চিমবঙ্গ সরকারি কর্মচারী পরিষদ সভাপতি দেবাশিস শীল বলেন, "সরকারি কর্মচারীদের বঞ্চিত করতে রাজ্য বারে বারে চেয়েছে মামলার শুনানি পিছিয়ে দিতে। এবারেও হয়তো সেই চেষ্টা করবে। তবে আইনের প্রতি আমাদের আস্থা আছে। আজ না হোক কাল সুবিচার নিশ্চয়ই মিলবে বলে আশা রাখি।"
কেন্দ্রীয় হারে সরকারি কর্মীদের ডিএ দেওয়ার দাবিতে বহুদিন ধরে সরব রাজ্য সরকারি কর্মীদের একাংশ। কলকাতা হাইকোর্ট এই দাবি মেনেই রায় দিয়েছিল। তবে সেই রায় চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্ট যায় রাজ্য সরকার। এরপর ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে সুপ্রিম কোর্টে প্রথম বার ওঠে ডিএ মামলা। তারপর থেকে একাধিকবার শুনানি হয়েছে এবং শুনানির দিন পিছিয়েওছে।
এর আগে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হৃষীকেশ রায়ের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হত। তবে শুনানি শেষ হওয়ার আগেই বিচারপতি অবসর নেন। এরপর মামলাটি নতুন বেঞ্চে গিয়েছে।
সম্প্রতি ২ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধিতে অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ফলে ৫৫.৯৮ শতাংশ ডিএ পেতে চলেছেন কর্মীরা। এর আগে গত বছর জুলাই মাসে ৫০ শতাংশ থেকে ডিএ বাড়িয়ে ৫৩ শতাংশ করেছিল কেন্দ্র। তারপর এখন তা বাড়িয়ে ৫৫ শতাংশ করা হয়েছে। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের জন্য রাজ্য সরকারি কর্মীদের সঙ্গে কেন্দ্রের কর্মীদের ডিএ-তফাৎ বিরাট বেড়ে গেছে।
চলতি বছরের রাজ্য বাজেটে রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের ৪ শতাংশ ডিএ বাড়ানোর ঘোষণা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। গত বছর বাজেটেও ৪ শতাংশ ডিএ বাড়ানো হয়েছিল। তার আগে ২০২৩ সালের বড়দিনে ডিএ বাড়ানোর ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বর্তমানে কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের ডিএ-র ফারাক কমে দাঁড়িয়েছে ৩৫ শতাংশ। এখন দেখার বুধবার সুপ্রিম শুনানিতে কী হয়।