শেষ আপডেট: 7th December 2024 12:08
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আগামী ১৬ ডিসেম্বর কলকাতায় ফোর্ট উইলিয়ামে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় সদর দফতর। ১৯৭১ সালের এইদিনে ভারতীয় সেনা এবং বাংলাদেশের মুক্তি বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল পাকিস্তান। ভারত ও বাংলাদেশ দিনটি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিজয় দিবস হিসাবে পালন করে থাকে।
এবারের বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান নিয়ে পূর্বাঞ্চলীয় সেনা সদরের তরফে মেজর জেনারেল মোহিত শেঠ যে কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন তাতে বাংলাদেশ থেকে কোনও মুক্তিযোদ্ধার অংশ নেওয়ার বিষয়ে উল্লেখ নেই। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর বিগত ৫৩ বছরে এই প্রথম মুক্তি বাহিনীর প্রবীন যোদ্ধাদের অংশ গ্রহণ ছাড়াই বিজয় দিবস পালিত হতে পারে। যদিও মেজর জেনারেল মোহিত শেঠ জানিয়েছেন, এই বিষয়ে পরে জানানো হবে।
তবে অতীতে এমন নজির নেই। বিগত বছরগুলিতেও বিজয় দিবসের দিন দশ আগে বিস্তারিত কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। তাতে মুক্তিযোদ্ধাদের নাম-পরিচয় উল্লেখ করে জানানো হয় তাদের সফরসূচি ঘোষণা করা হত। এবার তা হয়নি।
অনেকেই মনে করছেন, ভারত-বাংলাদেশের চলতি অস্থির পরিস্থিতির ছাপ পড়তে চলেছে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে। ভারত সরকার এবার মুক্তিযোদ্ধাদের আমন্ত্রণ জানায়নি, নাকি আমন্ত্রণ পেয়েও বাংলাদেশ বয়কটের পথে হাঁটছে তা স্পষ্ট নয়।
তবে অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্তাদের অনেকেই মনে করছেন, দুই দেশেরই উচিত হবে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে কূটনৈতিক বিবাদ টেনে না আনা। কারণ, দুই দেশের জন্যই ১৬ ডিসেম্বর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের মাটির সঙ্গে ভারতীয় সেনার রক্ত মিশে আছে। দু-দেশের মধ্যে যখন বাণিজ্যিক লেনদেন অব্যাহত, সামান্য হলেও ভিসা প্রদান করা হচ্ছে, তখন বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানেও এতদিনের ঐতিহ্য বজায় রাখা দরকার।