শেষ আপডেট: 19th August 2024 17:06
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আর জি কর হাসপাতালে ডাক্তার-ছাত্রীকে ধর্ষণ ও খুনের তদন্তে গত ৫ দিনে কী করল সিবিআই? সিবিআইয়ের তদন্তে অগ্রগতির দিক থেকে এখনও শূন্য। অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েনের পর সিবিআইয়ের রিপোর্ট কার্ড তুলে ধরলেন শাসকদলের রাজ্যসভা সদস্য সাকেত গোখলে।
সোমবার সাকেত বলেছেন, একেবারে প্রথম দিন থেকে আমাদের প্রধান লক্ষ্য ছিল, নির্যাতিতাকে সুবিচার দেওয়া। আর জি কর হাসপাতালে যে পাশবিক ধর্ষণ ও ঘৃণ্য হত্যাকাণ্ড ঘটেছে সে ব্যাপারে যেন ন্যায় মেলে নির্যাতিতার প্রতি। গত ১৩ অগস্ট কলকাতা হাইকোর্ট এই ঘটনার তদন্ত সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেয়।
সাকেত গোখেল আরও বলেন, গত ১৪ অগস্ট ধৃত অভিযুক্ত সহ সমস্ত কেস ফাইল সিবিআইয়ের হাতে দেয় কলকাতা পুলিশ। কিন্তু, গত পাঁচদিনে সিবিআইয়ের তদন্তে একধাপও অগ্রগতি হয়নি, এটা খুবই গুরুতর একটি উদ্বেগের বিষয়। এমনকী আর একজন অভিযুক্তও এখনও গ্রেফতার হয়নি। এই পাঁচদিনে কোনও সন্দেহভাজনকে জিজ্ঞাসাবাদও করেনি সিবিআই।
অভিযোগের সুরে সাকেত বলেন, সিবিআই হল একটি কেন্দ্রীয় সংস্থা। যাদের কাছে অসংখ্য সূত্র ও ক্ষমতা আছে। তা সত্ত্বেও আর জি কর তদন্তে তাদের কোনও গতি দেখা যাচ্ছে না। সংবাদ মাধ্যম এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় যে আগুনের মতো গুজব এবং ভুয়ো ব্যাখ্যা হয়ে চলেছে তাদের নাম করে, এর জবাবেও সিবিআই আজও একটি শব্দও খরচ করেনি।
আর জি কর নিয়ে আন্দোলনকে ছিনিয়ে নিয়েছে বিজেপি। এই দাবি করে সাকেত বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে রাজনৈতিক চাপের জন্যই কি সিবিআই নিষ্ক্রিয় ভূমিকা নিয়ে চলেছে, প্রশ্ন তৃণমূল এমপি সাকেত গোখেলের। আমাদের প্রতিটি মানুষের একটাই লক্ষ্য হল, নির্যাতিতাকে যেন সুবিচার দেওয়া যায়। কিন্তু, সিবিআইয়ের নীরবতা ও নিষ্ক্রিয়তা কেন্দ্রীয় সংস্থার উদ্দেশ্যের প্রতি আশঙ্কার মেঘ তৈরি করছে।
সাকেতের সন্দেহ, তাহলে কি সিবিআই দ্রুত এই মামলাকে গুটিয়ে নিতে চায়। তার উপর নির্দিষ্ট কিছু তথ্য মিডিয়ায় ফাঁস করার অভিযোগ এ প্রশ্ন তুলছে যে, তদন্তের গতিমুখ ঘুরিয়ে দেওয়াই কি তাদের লক্ষ্য? অতএব, জনমানসে আস্থা ও বিশ্বাস ফিরিয়ে আনার জন্য সিবিআইয়ের উচিত এই মুহূর্তে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে সব কথা খোলাখুলি বলা। তদন্তে তারা কতদূর এগলো তা মানুষ জানতে চায়। রাজনৈতিক নয়, নির্যাতিতার প্রতি ন্যায় পাইয়ে দিতে তারা যে দায়বদ্ধ তা বুঝিয়ে দিক সংস্থা, দাবি জানান তৃণমূল নেতা।