শেষ আপডেট: 18th January 2025 13:32
দ্য ওয়াল ব্যুরো: গোয়ালপোখেরে পলাতক বিচারাধীন বন্দিকে জীবিত অবস্থায় ধরার জন্য সব ধরনের চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু যেভাবে পুলিশকে লক্ষ্য করে অভিযুক্ত গুলি চালাতে শুরু করেছিল তাতে এনকাউন্টার ছাড়া উপায় ছিল না। তবে পুরো ঘটনার তদন্ত হবে। যদি কারও গাফিলতি প্রমাণিত হয় পদক্ষেপ করা হবে।
বাংলাদেশ সীমান্তে পলাতক বন্দির মৃত্যুর বিষয়ে সাংবাদিক বৈঠক থেকে জানালেন রাজ্য পুলিশের এডিজি আইনশৃঙ্খলা জাভেদ শামিম। এদিন এডিজি বলেন, "অপারেশনে আমাদের আট জনের দক্ষ অফিসাররা ছিলেন। সব ধরনের চেষ্টাও করা হয়েছিল।" ইতিমধ্যে মৃত বন্দির কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত করা অস্ত্র ফরেনসিক পরীক্ষা করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
গত বুধবার আদালত থেকে জেলে ফেরার সময় রাস্তায় শৌচালয় যাওয়ার নাম করে গোয়ালপোখরের পাঞ্জিপাড়ার কাছে পুলিশকে গুলি চালিয়ে পালিয়েছিল বিচারাধীন বন্দি সাজ্জাক আলম। তার গুলিতে জখম হয়েছিলেন দুই পুলিশ কর্মী নীলকান্ত সরকার ও দেবেন বৈশ্য। এরপরই বৃহস্পতিবার জেলায় পৌঁছে পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বাহিনীর মনোবল বাড়াতে ডিজি রাজীব পরিষ্কার জানিয়ে দেন, 'এবার থেকে পুলিশও গুলি চালাবে। দুষ্কৃতী ২ রাউন্ড গুলি চালালে পুলিশ ৪ রাউন্ড গুলি ছুড়বে'।
ডিজির হুঁশিয়ারির পরই অবশেষে পুলিশের কড়া পদক্ষেপ বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে ওই এনকাউন্টারের বিষয়েই বিস্তারিত জানান এডিজি আইনশৃঙ্খলা। একই সঙ্গে ওও স্পষ্ট করে দেন, অপরাধীদের রেয়াত করার প্রশ্নই নেই।
এডিজি জানান, গোপন সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছিল বাংলাদেশে পালানোর চেষ্টা করছে পলাতক বন্দি। সেই মতো সীমান্তে একাধিক টিম নজরদারিতে নেমেছিল। নজর রাখা হচ্ছিল সিসিটিভিতেও। তারই ভিত্তিতে বাংলাদেশ সীমান্তে সাজ্জাকের গতিবিধি জানতে পারেন তদন্তকারীরা। এদিন সকাল সাতটা নাগাদ গোয়ালপোখর থানা এলাকার সাহাপুরে একটু সেতু দিয়ে পলাতক বন্দি পালানোর চেষ্টা করে।
পুলিশ কর্তা বলেন, "ওই টিমে আমাদের আটজন অফিসারব ছিলেন। তাঁরা বারে বারে সাজ্জাককে থামতে বলেছিল। কিন্তু ও পাল্টা গুলি চালাতে চালাতে পালানোর চেষ্টা করে। তখনই পুলিশ এনকাউন্টার করতে বাধ্য হয়।"
পরে ইসলামপুর হাসপাতালে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় নিয়ে যাওয়ার কিছু পরে তার মৃত্যু হয়। সূত্রের খবর, তিনটি গুলি লাগে সাজ্জাকের দেহে।