শেষ আপডেট: 15th October 2024 16:37
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সরকারি হাসপাতালের নিরাপত্তায় রাতের সাথী প্রকল্পে সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ করা নিয়ে বড় প্রশ্ন তুলল শীর্ষ আদালত। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের এজলাসে আরজি কর মামলার শুনানি ছিল। সেখানেই এই প্রশ্ন তোলেন প্রধান বিচারপতি।
আদালত সূত্রের খবর, জবাবে রাজ্যের তরফে জানানো হয়, রাতের সাথী প্রকল্পে কেন্দ্রের যে আইন রয়েছে, তা মেনেই এই নিয়োগ করা হচ্ছে।
গত ৯ অগস্ট আরজি করে খুন-ধর্ষণের শিকার হন ডাক্তারি ছাত্রী। ঘটনার জেরে রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলিকে রাতে মহিলাদের সুরক্ষা নিয়ে ওঠে প্রশ্ন। বস্তুুত, নিজের কর্মস্থলেই এভাবে নৃশংস হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে তখন থেকেই আন্দোলিত সমাজ। বিচারের দাবিতে সেই আন্দোলন এখনও চলছে।
এরপরই গত ২৭ অগস্ট নবান্নের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, রাতে হাসপাতালে মহিলাদের সুরক্ষায়, বিশেষত মহিলা, চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীদের সুরক্ষায় রাতের সাথী অ্যাপ আনছে রাজ্য।
রাজ্যের তরফে পরে জানানো হয়েছিল, রাতের সাথী' নামের বিশেষ মোবাইল অ্যাপ চালু করা হচ্ছে। ওই প্রকল্পে রাতে প্রতিটি হাসপাতালে মোতায়েন করা হবে মহিলা ভলেন্টিয়ার। এছাড়াও হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজের প্রতিটি ব্লিডিং ও ফ্লোরে অ্যালার্মিং অ্যাপ সিস্টেম চালু রাখা হবে।
এদিন হাসপাতালের সুরক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে রাজ্য কী কী পদক্ষেপ করছে, সেই প্রসঙ্গ উঠতেই রাতের সাথী প্রকল্পে মহিলা ভলান্টিয়ার কেন নিয়োগ করা হচ্ছে, সেই প্রশ্ন তোলেন প্রধানবিচারপতি। প্রসঙ্গত, এর আগে একটি মামলার শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়েছিল, আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোনও কাজে সিভিক ভলান্টিয়ারদের রাখা যাবে না।
প্রসঙ্গত, আরজি করে ডাক্তারি ছাত্রীকে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মূল অভিযুক্ত হিসেবে যাকে গ্রেফতার করা হয়েছে, সেই সঞ্জয় রায়ও একজন সিভিক ভলান্টিয়ার। পর্যবেক্ষকদের অনেকের মতে, সম্ভবত সে কারণেই রাতের নিরাপত্তার দায়িত্বে সিভিক ভলান্টিয়ার রাখা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রধান বিচারপতি।