শেষ আপডেট: 30th September 2023 23:51
দ্য ওয়াল ব্যুরো: একশ দিনের কাজ প্রকল্পে বঞ্চিতরা বাসে করে দিল্লির উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। তাঁদের সঙ্গে বাসে রয়েছেন জেলার তৃণমূলের কর্মীরাও। কিন্তু ওই বাসে কোনও নেতা নেই কেন, কোনও মন্ত্রী নেই কেন তা নিয়ে খোঁচা দিলেন শুভেন্দু অধিকারী-মহম্মদ সেলিম।
একশ দিনের কাজ ও আবাস যোজনার টাকা বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্র। সেই টাকা আদায়ের জন্য গত ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে 'দিল্লি চলো'-র ডাক দিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ২ অক্টোবর দিল্লির রাজঘাটে অবস্থানে বসার কথা তৃণমূলের সাংসদ ও রাজ্যের মন্ত্রীদের। এছাড়া বাংলায় ১০০ দিনের কাজ থেকে বঞ্চিতদের ও আবাস যোজনায় বাড়ি না পাওয়া উপোভোক্তাদের নিয়ে ৩ তারিখে যন্তরমন্তরে একটি প্রতিবাদ সভা হওয়ার কথা।
সেই কারণে বঞ্চিতদের দিল্লি নিয়ে যেতে জন্য একটি স্পেশাল ট্রেন বুক করেছিল তৃণমূল। কিন্তু কাকতালীয় ভাবে দিল্লি রওনা হওয়ার ঠিক ১২ ঘন্টা আগে রেল জানিয়ে দেয় রেক না থাকার কারণে ওই ট্রেন দিতে পারছে না তারা। এরপরেই নেতাজি ইন্ডোরে গিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দেন অভিষেক। জানিয়ে দেন ট্রেন বাতিল করলেও দিল্লি চলো অভিযান হবেই। ইঙ্গিত দেন সড়কপথে নিয়ে যাওয়া হবে বাংলার বঞ্চিত গরিব মানুষগুলোকে।
সেই মোতাবেক তৃণমূলের দাবি প্রায় ৫০ টি বাসে করে বঞ্চিতদের নিয়ে দিল্লি রওনা হয়েছে। আর এ নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা।
এদিন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, “বাহ এ কী বিচার শাসক দলের, নেতারা যাবেন আকাশপথে আর যাঁদের জন্য লড়াই তাঁরা যাবেন বাসে করে। এটা কি দ্বিচারিতা নয়?” তাঁর বক্তব্য, চার্টার্ড প্লেনে নিয়ে যেতে পারত, যদি সত্যিই তাঁদের পাশে থাকত তৃণমূল।
সেলিম আরও বলেন, “অভিষেক যখন শিলিগুড়ি যান চার্টার্ড প্লেন ছাড়া যান না। জেলায় জেলায় হেলিকপ্টারে করে ঘুরে বেড়ান। ওদের টাকার কি অভাব আছে নাকি, কোটি কোটি কালো টাকা। ব্যাঙ্কে তো টাকা রাখেন না বোঝা গেল আদালতে”।
এদিন শুভেন্দু অধিকারীও এ নিয়ে শাসক দলকে খোঁচা দিতে চেয়েছেন। বিরোধী দলনেতা বলেন, “গরিব মানুষ গুলোর টাকা যারা চুরি করেছেন তাঁরাই যাচ্ছেন আকাশপথে, আর যাঁদের টাকা চুরি করেছে তাঁদেরকে বাসে করে পাঠাচ্ছে। এটা ড্রামা ছাড়া আর কিছুই না”।