প্রতীকী ছবি।
শেষ আপডেট: 19 November 2024 11:47
দ্য ওয়াল ব্যুরো: রাজ্য পর্যটনের মানচিত্রে উল্লেখযোগ্য জায়গাগুলির মধ্যে অন্যতম পূর্ব মেদিনীপুরের মন্দারমণি সমুদ্রতট।
দিঘার ভিড়ভাট্টার জন্য অনেকেই নির্জন এই সমুদ্র-তটে যেতে পছন্দ করেন। সেই সূত্রে বছরভরই আনা গোনা থাকে পর্যটকদেরও। মন্দারমণির আরও একটি বিশেষ আকর্ষণ হল লাল কাঁকড়া। এহেন জনপ্রিয় পর্যটনস্থল থেকে রাতারাতি ১৪০টি হোটেল কেন ভেঙে ফেলতে চেয়েছিল জেলা প্রশাসন?
নবান্ন সূত্রে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ সামনে আসার পরই জেলা প্রশাসনের এহেন সিদ্ধান্ত নিয়ে শোরগোল তৈরি হয়েছে। ২০ নভেম্বর অর্থাৎ আগামীকাল বুধবার ১৪০টি হোটেল ভেঙে ফেলা হবে বলে আগেই নোটিশ জারি করেছিল জেলা প্রশাসন। এর মধ্যে শুধু দাদনপাত্রবাড়েই রয়েছে ৫০টি হোটেল, সোনামুইয়ে ৩৬টি, সিলামপুরে ২৭টি, মন্দারমণিতে ৩০টি হোটেল এবং দক্ষিণ পুরুষোত্তমপুর মৌজায় একটি লজ রয়েছে।
শেষ মুহূর্তে বিষয়টি জানতে পেরে জেলা প্রশাসনের ওই নির্দেশ বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ঘনিষ্ঠ মহলে প্রশ্ন তুলেছেন, এভাবে কারও সঙ্গে আলোচনা না করে কীভাবে ১৪০টি হোটেলের মালিক এবং কর্মচারীদের পথে বসানোর চেষ্টা করা হচ্ছিল?
সেই সূত্রেই সামনে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। অভিযোগ, সমুদ্রের পারে হোটেল বা রিসর্ট বানাতে গিয়ে অনেকেই নিয়মের পরোয়া না করে মনমতো বেআইনি নির্মাণ তৈরি করছেন।
অভিযোগ, এই কারণেই কুপ্রভাব পড়ছে পরিবেশে। যে জল গড়িয়েছিল কেন্দ্রীয় পরিবেশ আদালত পর্যন্ত। সেখান থেকে নির্দেশ আসার পরই গত ১১ নভেম্বর সিআরজেড (কোস্টাল রেগুলেটেড জ়োন ম্যানেজমেন্ট অথরিটি)-র জেলা কমিটির তরফে মন্দারমণি এবং সংলগ্ন আরও চারটি মৌজায় ১৪০টি হোটেল, লজ, রিসর্ট এবং হোম স্টে ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে আগে সংবাদমাধ্যমকে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি জানিয়েছিলেন, 'নোটিশ দেওয়া হয়েছে। ২০ নভেম্বর একটি দিনও ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। এই মুহূর্তে এর বেশি কিছু বলব না।'
তবে রাজ্যকে না জানিয়ে শুধু জেলা থেকে কেন এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, তা নিয়ে আগেই প্রশ্ন তোলা হয়েছিল বিভিন্ন মহল থেকে।