শেষ আপডেট: 5th October 2024 08:33
অরুণাভ বসু
আরজি কর হাসপাতালের ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিবাদের সময়ে খুবই ট্রোলের মুখে পড়েছিলেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। প্রথমে শঙ্খ বাজানোর ভিডিও পোস্ট করে ট্রোলের মুখে পড়েছিলেন তিনি। পরে শ্যামবাজার মোড়ে রাত দখলের কর্মসূচিতে সামিল হতে গিয়ে হেনস্থার শিকার হন ঋতুপর্ণা।
শ্যামবাজারের ঘটনার নিন্দা করে টলিপাড়ার অধিকাংশ অভিনেতা ও পরিচালক যখন ঋতুপর্ণার প্রতি সহানুভূতি জানিয়েছিলেন, তখন স্রোতের বিপরীতে উজ্জ্বল মুখ ছিলেন শ্রীলেখা মিত্র।
দ্য ওয়ালকে শ্রীলেখা তাঁর প্রতিক্রিয়ায় স্পষ্টতই বলেছিলেন, “যা হয়েছে বেশ হয়েছে। ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ঢং করে শাঁখ বাজাতে গিয়েছিল কেন?” শ্রীলেখা এও বলেছিলেন, শ্যামবাজারের ঘটনার জন্য যাঁরা ঋতুপর্ণার প্রতি সহানুভুতি দেখিয়েছেন, তিনি তাঁদের মানুষ বলে মনে করেন না!
শ্যামবাজারের ঘটনার পর পরই ঋতুপর্ণা বিদেশে চলে গিয়েছিলেন। পুজোর সময়ে তিনি এখন কলকাতায়। শ্রীলেখার তীর্যক মন্তব্য নিয়ে শুক্রবার তাঁর প্রতিক্রিয়া জানতে চায় দ্য ওয়াল। জবাবে ঋতুপর্ণা বলেন, “কে উনি আমি চিনিই না, উনি কে? আমি কিচ্ছু বলতে চাই না”। ঋতুপর্ণা এও বলেন,“আমি একটা কথা বিশ্বাস করি যে অন্যকে ছোট করে নিজেকে বড় করা যায় না”।
এদিনের সাক্ষাৎকারে শ্যামবাজারের ঘটনার প্রসঙ্গও ওঠে। সে ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে ঋতুপর্ণা বলেন, “আমি ট্রোল গায়ে মাখি না। এত বছর ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছি। আমার সবকিছু শ্রম দ্বারা অর্জিত। পরিশ্রম করেই যেটুকু হওয়ার হয়েছি। পরিশ্রমের উপর আমার শ্রদ্ধা রয়েছে”।
ঋতুপর্ণার কথায়, শ্যামবাজারের ঘটনার পর মনে হল, কিছু মানুষের মানসিকতার কতটা অবনতি হয়েছে। তাঁরা কি আদৌ প্রতিবাদ করতে গিয়েছিলেন, নাকি স্রেফ হুজুগের জন্য গিয়েছিলেন। ‘চল কিছু করি। ভাবছে বিরাট কিছু করে ফেললাম’।
ঋতুপর্ণা এও বলেন, “শিল্পীদের যেমন মানুষ ভালবাসে আবার ছুড়ে ফেলতেও সময় লাগে না। তবে হ্যাঁ শিল্পীদের যত কষ্টের ভিতর দিয়ে যেতে হয়, অন্য পেশার কাউকে তা করতে হয় না। শিল্পীদের যে অপমান বা রিজেকশনের মধ্যে দিয়ে যেতে হয় তা আর কাউকে করতে হয় না। তবে হ্যাঁ, এই কষ্টই শিল্পীদের ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য প্রেরণা দেয়”।
ঋতুপর্ণার এ কথা থেকেও কি বিতর্ক হতে পারে? শ্রীলেখাই বা ফের জবাব দেবে কি! দেখা যাক। ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর সম্পূর্ণ সাক্ষাৎকারটি দেখুন।