মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার।
শেষ আপডেট: 17 September 2024 04:43
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আরজি করের ঘটনার পর থেকেই কলকাতার পুলিশ কমিশনার পদ থেকে বিনীত গোয়েলকে অপসারণের জন্য জোরালো দাবি উঠতে শুরু করেছিল। আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা যেমন এই দাবি নিয়ে লালবাজার অভিযান করেছিলেন, তেমনই রাজনৈতিক দাবিও ছিল।
এই চাপের কাছে নতি স্বীকার না করার যথাসম্ভব চেষ্টা করেছিল নবান্ন। কিন্তু শেষমেশ অচলাবস্থা কাটাতে বিনীত গোয়েলকে সরানোর দাবি মেনে নিতে বাধ্য হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার বিকেল চারটের মধ্যে নতুন কমিশনারের নাম ঘোষণা করবেন তিনি।
এখন কৌতূহলের বিষয় নতুন পুলিশ কমিশনার কে হতে পারেন?
নবান্নের শীর্ষ সূত্রে খবর, এ ব্যাপারে অনেক দিন ধরেই দুটি নাম নিয়ে প্রশাসনের মধ্যে আলোচনা চলছে। কেন না, আরজি করের ঘটনা না ঘটলেও কলকাতার পুলিশ কমিশনার পদ থেকে বিনীত গোয়েলকে সরানোর কথা চলছিল। তা ছাড়া এ বছর ৩১ ডিসেম্বর পুলিশ কমিশনার পদে বিনীতের তিন বছরের মেয়াদও শেষ হয়ে যেত।
যে দুই মুখ নিয়ে এর আগে কথা চলছিল তাঁরা হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিরেক্টর সিকিউরিটি পীযূষ পাণ্ডে। পীযূষ দুঁদে পুলিশ কর্তা। অতীতে লালবাজারে গোয়েন্দা প্রধান হিসাবে কাজ করেছেন। তাছাড়া মনমোহন সিং প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন পীযূষ ডেপুটেশনে এসপিজিতে ছিলেন। পীযূষ ছাড়াও দ্বিতীয় যে পুলিশ কর্তার নাম বিবেচনায় ছিল তিনি হলেন এডিজি সিআইডি আর রাজশেখরন।
তবে আরজি করের ঘটনার পর আরও দুই পুলিশ কর্তার নামও আলোচনায় চলে এসেছে। তাঁরা হলেন, বর্তমানে এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতীম সরকার এবং আইপিএস অফিসার জাভেদ শামিম। জাভেদ বর্তমানে রাজ্য পুলিশের দুর্নীতি দমন শাখার দায়িত্বে রয়েছেন। অতীতে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান ছিলেন তিনি। সোমবার সন্ধেয় মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে যখন জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠক চলছে, তখন কালীঘাটে দেখা যায় জাভেদকে। সেই কারণে তাঁর নাম নিয়ে হঠাৎ জল্পনা শুরু হয়েছে প্রশাসনের মধ্যে।
আবার স্বাভাবিক কারণে আলোচনায় রয়েছে সুপ্রতীম সরকারের নামটিও। আরজি করের ঘটনা নিয়ে প্রথম দুদিন সাংবাদিক বৈঠক করার পর বিনীত গোয়েল বিতর্কের মুখে পড়েন। তার পর থেকে আইপিএস অফিসার সুপ্রতীম সরকারকে পুরোভাগে নিয়ে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দেখা যায়, নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকও করছেন সুপ্রতীম। তা ছাড়া রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারের সঙ্গেও তাঁর বোঝাপড়া ভাল।
তবে শেষমেশ কার উপর ভরসা করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তা এখনও পুরোপুরি স্পষ্ট নয়। মঙ্গলবার দুপুরের মধ্যে তা পরিষ্কার হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।