শেষ আপডেট: 30th July 2024 19:56
দ্য ওয়াল ব্যুরো: লোকসভা ভোটের মুখে গত ১০ মার্চ বিগ্রেডের জনগর্জন সভা থেকে কেন্দ্রের মোদী সরকারকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে তৃৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, '১০০ দিনের প্রকল্প এবং আবাস যোজনায় ২০২১ সালের পর থেকে কেন্দ্র বাংলাকে ১ পয়সাও দিয়েছে, এটা প্রমাণ করতে পারলে আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব।'
মঙ্গলবার ওই বঞ্চনার প্রসঙ্গ টেনেই সংসদে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণকে বিঁধলেন অভিষেক। বাংলা আর্থিক দিক থেকে পিছিয়ে পড়ছে, নির্মলার এহেন অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিষেক প্রশ্ন তোলেন, "মুখে মিথ্যে না বলে পরিসংখ্যান দেখান।" এরপরই বাংলার প্রতি কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রসঙ্গ টেনে সংসদ ওয়াক আউট করেন অভিষেক সহ তৃণমূলের অন্য সাংসদরা।
পরে বাইরে এসে অভিষেক বলেন, "আমি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ করে বলছিলাম, ২০২১ সালে বিধানসভা ভোটে বাংলায় নির্লজ্জভাবে বিজেপি হেরে যাওয়ার পর কেন্দ্রের সরকার ক’পয়সা বা টাকা বরাদ্দ করেছে সে ব্যাপারে একটা শ্বেতপত্র প্রকাশ করুন। উনি সেটা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। উল্টে বাংলার নামে কুৎসা করছেন। তবু বলব বিজেপির যদি সৎ সাহস থাকে তাহলে বাংলার জন্য ওরা কত বরাদ্দ করেছে তার শ্বেতপত্র প্রকাশ করে দেখাক।"
পরে এব্যাপারে অর্থমন্ত্রীকে আক্রমণ করে টুইটও করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। টুইটেও কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রসঙ্গে সরব হন অভিষেক।
During her budget reply, which lasted over 100 minutes, the Hon’ble Finance Minister @nsitharaman made hundreds of FALSE CLAIMS but failed to mention Bengal’s deprivation even once.
— Abhishek Banerjee (@abhishekaitc) July 30, 2024
The Union Govt claimed in Parliament that no state is being "denied any money." But even 138 Days…
প্রসঙ্গত, কেন্দ্র না দেওয়ায় ইতিমধ্যে ১০০ দিনের মজুরীর বকেয়া টাকা শ্রমিকদের মিটিয়ে দিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। ওই প্রসঙ্গ টেনে অভিষেক বলেন, "তৃণমূল বিজেপির মতো দ্বিচারিতার রাজনীতি করে না। আলিপুর দুুয়ার, জলপাইগুড়িতে আমরা ভোট পাইনি, হেরেছি> কিন্তু ওখানকার গ্রামে গিয়ে একজন মহিলা খুঁজে বের করুন তো যে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাননি। কাঁথি কিংবা পুরুলিয়া একটা মহিলা বের করুন তো যে তৃণমূলকে ভোট দেয়নি বললে কন্যাশ্রী পাইনি। এই দ্বিচারিতার রাজনীতি আমরা করি না। ওরা বিভ্রান্ত করার জন্য বলছে।"
অভিষেক বলেন, গত তিন বছরে বাংলাকে একশ দিনের কাজ প্রকল্পে এক টাকাও দেওয়া হয়নি। উল্টে ৫৯ লক্ষ শ্রমিকের মজুরি বাবদ কেন্দ্রের কাছে ৬৯১৩কোটি টাকা বকেয়া পাওনা রয়েছে রাজ্যের। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা খাতে ২০২১-২২, ২০২২-২৩ এবং ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরে ১০ পয়সাও দেওয়া হয়নি। ওই প্রকল্প খাতে বাংলার ১১ লক্ষ ৩৬ হাজার পরিবারের মাথার উপর পাকা ছাদ পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ৮১৪০ কোটি টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র। শুধু তা নয়, জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন খাতে আরও ৮০০ কোটি টাকা আটকে রেখেছে। এই টাকা স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও ওয়েলনেস সেন্টারের জন্য।