শেষ আপডেট: 23rd October 2024 18:19
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আলিপুর আবহাওয়া দফতরের প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, ২৪ অক্টোবর রাত ৮টার পর থেকে ২৫ অক্টোবর সকাল ৮ টার মধ্যে উত্তর ওড়িশা ও সাগরদ্বীপের মাঝামাঝি জায়গা ওড়িশার ভিতর-কণিকা ও ধামরার মধ্যে ঘূর্ণিঝড় দানার ল্যান্ডফল করার সম্ভাবনা প্রবল।
আবহাওয়া দফতরের আধিকারিক হাবিবুর রহমান বলেন, সমগ্র ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া শেষ হতে ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা সময় লাগে। আশা করা যাচ্ছে ওই সময়ের মধ্যে ল্যান্ডফল হতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের পরবর্তী আপডেট দেখে আমরা আরও নির্দিষ্ট করে জানিয়ে দেব।
এর প্রভাবে বাংলার কোন কোন জেলায় ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি?
আলিপুর জানাচ্ছে, দানার প্রভাবে সবচেয়ে বেশি ঝড় হওয়ার সম্ভাবনা থাকছে পূর্ব মেদিনীপুরে। ঘূর্ণিঝড় দানা স্থলভাগ অতিক্রম করার সময় স্থলভাগে এর গতি থাকবে ঘণ্টায় ১১০ থেকে ১২০ কিমি। ওই একই ঝড়ের গতিবেগ থাকবে পূর্ব মেদিনীপুরে।
একইভাবে পার্শ্ববর্তী জেলা পশ্চিম মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপকূলবর্তী এলাকায় ঝড়ের গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ৮০ থেকে ১০০ কিমি। ২৪ অক্টোবর সন্ধে থেকে ঝড়ের এই দাপট শুরু হবে। একইভাবে উত্তর ২৪ পরগনা, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি ও ঝাড়গ্রামে বৃহস্পতিবার সন্ধে থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৭০ কিমি বেগে বইতে পারে তীব্র ঝোড়ো হাওয়া।
ঝড়ের পাশাপাশি তীব্র জলোচ্ছ্বাসও দেখা যাবে সমুদ্রে। দানা যখন স্থলভাগের ওপর দিয়ে অতিক্রম করবে তখন ১ থেকে ২ মিটার জলোচ্ছ্বাস তৈরি হতে পারে দিঘা, মন্দারমনিতে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপকূলে দশমিক ৫ থেকে ১ মিটার পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাস হতে পারে।
দানার আগমন ঘিরে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে বন্দরেও। আবহাওয়া আধিকারিক হাবিবুর রহমান বলেন, "হলদিয়া কলকাতা ও সাগর বন্দরে ৯ নম্বর সর্তকতা জারি করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় যদি বন্দরকে ডান দিকে রেখে অতিক্রম করে তখন আমরা এই ৯ নম্বর সতর্কতা জারি করে থাকি।"