শেষ আপডেট: 14th January 2025 17:43
দ্য ওয়াল ব্যুরো: হাড় হিম করা ভিডিও! প্রথমে গুলি, তারপরে হাঁসুয়া দিয়ে উপর্যুপুরি কোপ এবং সব শেষে পাথর জাতীয় ভারী বস্ততে করে মাথায় আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করা!
রীতিমতো লোকালয়ের মধ্যে প্রকাশ্যে দিবালোকে এভাবে শিকার'কে ঘিরে ধরে সময় নিয়ে খুন, খুনের ভিডিও রেকর্ডিং করা এবং সব শেষে হেলে দুলে পায়ে হেঁটে এলাকা থেকে চলে যাওয়া! শেষ কবে এমন দৃশ্য দেখা গিয়েছে? পুলিশের কর্তা থেকে তামাম রাজনীতিক, এমনকী সাধারণ মানুষও মনে করতে পারছেন না।
আমজনতার কথায়, এতদিন বিহার, উত্তরপ্রদেশে যা আকছার দেখা যেত, সেই কালচারই বোধহয় এবার বাংলায় শুরু হয়ে গেল। সেই সূত্রে উঠে আসছে, এত বেআইনি অস্ত্র আসছে কোথা থেকে?
১২ দিনের ব্য়বধানে মালদহে দু দুটি খুনের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বড় প্রশ্ন তুলেছেন মালদহের তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল গনি। বিরোধী নয়, খুনের নেপথ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলকে দায়ী করার পাশাপাশি পুলিশের ভূমিকা নিয়েও বড় প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। আব্দুল গনির কথায়, "এসপির ভূমিকা ঠিক নয়। একের পর এক খুনের পরও উনি সক্রিয় হননি।"
প্রসঙ্গত, ১২ দিন আগে বাবলা সরকারের খুনের ঘটনার পরই এসপির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশ্ন তুলেছিলেন, গোয়েন্দা বিভাগের ভূমিকা নিয়েও। তবে এদিন মালদহে প্রকাশ্যে দিবালোকে ফিল্মি কায়দায় তৃণমূল নেতাকে খুনের ঘটনায় ফের প্রশ্নের মুখে পুলিশের ভূমিকা।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ২১ মার্চ রাতে বীরভূমের রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান ভাদু শেখকে গুলি করে খুন করা হয়৷ এরপরই ওই রাতে গ্রামের ১০ জনকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ ওঠে ভাদুর অনুগামীদের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনার পর বগটুই গ্রামে গিয়ে ১০ দিনের মধ্যে রাজ্য থেকে বেআইনি অস্ত্র উদ্ধারের নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের নির্দেশে সে সময় প্রচুর অস্ত্রও উদ্ধার হয়। তারপরও এত অস্ত্র কোথা থেকে আসছে? পযর্বেক্ষকদের অনেকের মতে, এই প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দিয়েছেন মালদহের তৃণমূল বিধায়কই। তিনি অনেক কথার ভিড়ে এও বলেছেন, 'এটা তৃণমূল ভার্সেস তৃণমূলের লড়াই!'
আর পুলিশের এক কর্তার অসহায় স্বীকারোক্তি, "আমাদের অবস্থা নন্দ ঘোষের মতো। সক্রিয় হলেও জ্বালা, না হলেও! এখন তো আর অপরাধী বলে কিছু নেই, সকলেই কোন না কোন রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় রয়েছে। ফলে মাঝে মধ্যে এক আধজনকে ধরলেও মূল অপরাধের কাছ পর্যন্ত পৌঁছনো যায় না! আর পৌঁছালেও ওপর তলার অর্ডারে নয় ছেড়ে দিতে নয়, নয় নিজেরই ট্রান্সফার বরণ করে নিতে হয়!"