শেষ আপডেট: 10th September 2024 21:27
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মঙ্গলবার সন্ধেয় স্বাস্থ্যসচিবের পাঠানো ই-মেল বার্তা প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলনরত চিকিৎসরা জানিয়ে দিয়েছেন, সরকারের তরফে প্রপার ই-মেল না আসা পর্যন্ত স্বাস্থ্যভবনের সামনে ধর্না অবস্থান চালিয়ে যাবেন। সোমবার আরজি কর মামলায় সুপ্রিম কোর্ট পষ্টাপষ্টি জানিয়ে দিয়েছিল মঙ্গলবার বিকেল ৫টার মধ্যে জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে ফিরতে হবে। নইলে তাঁদের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার চাইলে ব্যবস্থা নিতেই পারবে।
এমন পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে সরকার আন্দোলনকারী পড়ুয়া চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেবে কিনা, বিভিন্ন মহল থেকে এমন জল্পনা সামনে আসতেই পাল্টা হুঁশিয়ারি শোনালেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা।
তাঁদের কথায়, "আমাদের আন্দোলনের ফলে রাজ্যের চিকিৎসা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে বলে মিথ্যে প্রচার করা হচ্ছে। আমাদের কর্মবিরতির ঘাটতি মিটিয়ে দিতে সিনিয়র চিকিৎসকদের অনেকে দিন-রাত এক করে নাগাড়ে ডিউটি করে চলেছেন।"
এরপরই আন্দোলনকারীদের হুঁশিয়ারি, "সব শিক্ষক সন্দীপ ঘোষ নন, সিনিয়র চিকিৎসকরা মাস রেজিগনেশন দিতে শুরু করলে সরকার কী করবে?" অর্থাৎ তাঁদের আন্দোলনে যে সিনিয়র চিকিৎসকদেরও পূর্ণ সমর্থন রয়েছে সেটাই স্পষ্ট করতে চেয়েছেন আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা।
প্রসঙ্গত, পুলিশ কমিশনারের পদত্যাগ চেয়ে এর আগে লালবাজারে অবস্থানে বসেছিলেন আন্দোলরত জুনিয়র চিকিৎসকরা। সেদিন ডিউটি শেষে রাতে তাঁদের আন্দোলনস্থলে হাজির হয়েছিলেন অনেক চিকিৎসক। তাঁদেরই কেউ কেউ একথা বলেছিলেন, "ওরা আমাদের সন্তানসম। ওদের আন্দোলনকে বুস্টআপ করতে চলে এলাম!"
আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, তাঁদের দাবি মেনে নিলেই তাঁরা কাজে ফিরবেন। তা না হওয়া পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা।
তবে এ ব্যাপারে সরকার যে এখনই আন্দোলনকারীদের প্রতি সহানুভূতিশীল তা স্পষ্ট করে এদিন এক সা্ংবাদিক বৈঠকে রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, "আন্দোলনের মূল কারণকে সমর্থন করেছে রাজ্য সরকার। আলোচনার মাধ্যমেই সরকার সমস্যার সমাধান করতে চায়। তাই সরকারের তরফে ই-মেল করা হয়েছিল। নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী সাড়ে সাতটা পর্যন্ত অপেক্ষা করেছেন। ক্ষেত্রটা সাধারণ মানুষকে স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়ার। তাই চিকিৎসকরা কাজে ফিরুন, এটা আরও একবার অনুরোধ করলাম।"
এখন দেখার কোন পথে সমস্যার জট কাটে।