মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মহম্মদ সেলিম ও সুজন চক্রবর্তী।
শেষ আপডেট: 10th December 2024 15:00
দ্য ওয়াল ব্যুরো: শরদ পাওয়ার, সমাজবাদী পার্টির পর এবার লালু প্রসাদও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইন্ডিয়া জোটের নেত্রী করার দাবিতে সওয়াল শুরু করেছেন। লালুর মতে, ইন্ডিয়া জোটের নেতৃত্বের রাশ কোনও মজবুত মুখের হাতে দেওয়া হোক। সেই তিনি হতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই।
ইন্ডিয়া জোটে রয়েছে বামেরাও। স্বভাবতই, জোর কৌতূহল তৈরি হয়েছে, মমতা জোটের নেত্রী হলে মহম্মদ সেলিম-বৃন্দা কারাটরা আদৌ ইন্ডিয়াতে থাকবেন তো? কী হবে বামেদের অবস্থান?
এ ব্যাপারে দ্য ওয়াল যোগাযোগ করেছিল পশ্চিমবঙ্গের সিপিএম নেতাদের সঙ্গে। কী বলছেন তাঁরা? সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের বলেন, "এটা দিল্লির বিষয়, দিল্লির নেতারা বলবেন। আমি এখান থেকে কী বলব! বাংলায় তো ইন্ডিয়া জোট নেই।"
সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী অবশ্য সোজা ব্যাটে খেলেছেন। লালু প্রসাদের মন্তব্য প্রসঙ্গে তাঁর প্রতিক্রিয়া, " যে কেউ যে কোনও কথা বলতে পারেন, কিন্তু সেটা ইন্ডিয়া ব্লকে আলোচনা হয়েছে কী?"
খানিক থেমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়র প্রসঙ্গে সুজন বলেন, "যাঁর কথা বলছেন সেই তিনি ইন্ডিয়া জোটে থাকুক আর না থাকুক কিছু যায় আসে কি? কারণ, উনি জোটে থাকুন না থাকুন কোনও লাভ নেই।" সুজন এও বলেন, "একথাটা বলছি, কারণ, উনি তো অ্যাভয়েড করেন। নামে আছেন ঠিকই কিন্তু বাস্তবে থাকেন না।"
প্রসঙ্গত, ইন্ডিয়া জোটে বর্তমান যে নেতানেত্রীরা রয়েছেন তাঁদের মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্যতম অভিজ্ঞ ও ওজনদার নেত্রী। বিরোধী জোটে তৃতীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ দল তৃণমূল। কংগ্রেস ও সপার পর লোকসভায় জোড়াফুলের সদস্য সংখ্যাই বেশি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাত বারের সাংসদ। নয়ের দশক থেকে কেন্দ্রে মন্ত্রী ও পরে তিন বারের মুখ্যমন্ত্রী। এত দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ও সাফল্য জোটের প্রবীণতম সদস্য শরদ পাওয়ারেরও নেই।
তবে বাংলার দায়িত্ব সামলে ইন্ডিয়া জোটের নেতৃত্ব দিতে ঘন ঘন দিল্লি যাওয়ার গুরু দায়িত্ব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আদৌ নেবেন কিনা, তা নিয়েও বিভিন্ন মহলে সন্ধিগ্ধ। তবে লালু-পাওয়ারদের এই প্রস্তাবে শেষ পর্যন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজি হয়ে গেলে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সিপিএম কী অবস্থান নেয়, সেটাই এখন দেখার।
তবে এ বিষয়ে বামফ্রন্ট বা তাদের বড় শরিক সিপিএমকে নিয়ে ভাবিত নয় তৃণমূল। দলের অন্যতম মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, "কংগ্রেস তো মূল দায়িত্ব পালন করতে পারছে না। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে বাকি শরিকদলগুলো যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যোগ্য মুখ হিসেবে মনে করেন, তাহলে এটা তো স্বাভাবিক ঘটনা। তাতে সিপিএম থাকল কি থাকল না, তাতে কিছু আসে যায় না। কারণ, সিপিএম বাংলায় তো শূন্য, সর্বভারতীয় স্তরেও ওরা প্রাসঙ্গিকতা হারিয়েছে।"