শেষ আপডেট: 18th September 2024 16:16
দ্য ওয়াল ব্যুরো: গত ৮ অগস্ট আরজি কর হাসাপাতালে শিক্ষার্থী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার আগে পড়ে টালা থানার ওসি অভিজিৎ মন্ডলের সঙ্গে তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের যে বেশ কয়েকবার কথা হয়েছিল, তার নথি এখন সিবিাইয়ের হাতে রয়েছে। কারণ, দুজনেরই ফোনের সিডিআর তথা কল ডিটেলস রেকর্ড করে করেছেন গোয়েন্দারা। এবার সেই কল রেকর্ড হাতে নিয়ে তাঁদের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা দরকার বলে আদালতে জানাল সিবিআই।
আরজি কর হাসপাতালে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পর টালা থানার ওসিকে ফোন করাটা খুব স্বাভাবিক ঘটনা। এমন একটা ঘটনা ঘটলে হাসপাতালের অধ্যক্ষ স্থানীয় থানার ওসিকে ফোন করে জানানোই দস্তুর। কিন্তু সিবিআইয়ের দাবি, তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকবার ফোনে কথা হয়। এবং কিছু সন্দেহজনক ফোন কলের রেকর্ডও পাওয়া গিয়েছে। তাঁদেরও ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
টালা থানার সিসিটিভি ফুটেজও সংগ্রহ করেছে সিবিআই। সেই ফুটেজ হাতে নিয়ে টালা থানার ওসিকে জেরা করা জরুরি বলেও আদালতে জানিয়েছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় এজেন্সির বক্তব্য, কোনও অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র হয়েছিল কিনা তদন্ত করে দেখতেই তা জরুরি।
ঘটনার দিন রাতে আরজি কর হাসাপাতালের সিসিটিভি ফুটেজও হাতে পেয়েছে সিবিআই। কলকাতা পুলিশ ওই ফুটেজ পেন ড্রাইভে করে সিবিাইকে দিয়েছে। আদালতে সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, হাসপাতালের ওই সিসিটিভি ফুটেজে কিছু মুভমেন্ট দেখা গেছে। সেগুলি নিয়ে সন্দীপ ঘোষকে জেরা করা হবে।
আদালতে সিবিআই আরও জানিয়েছে, মৃতার পরিবার দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের দাবি করলেও সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার ওসি মরদেহ দ্রুত সৎকারের ব্যবস্থা করেছিলেন। আবার দেখা গেছে, যেখানে অপরাধের ঘটনা ঘটেছিল সেখান থেকে ইচ্ছাকৃত ভাবে দূরে ছিলেন সন্দীপ ঘোষ। অর্থাৎ তাঁরই নজর রাখার কথা ছিল এবং দ্রুত এফআইআর দায়ের করার কথা ছিল।
সিবিআই আদালতে জানিয়েছে, মৃতার পরিবার এই দুজনের ভূমিকা নিয়ে স্পষ্ট কিছু অভিযোগ জানিয়েছে। তাই এদেরকে ফের জেরা করা দরকার।
মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানির সময়ে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেছিলেন, মৃতার পরিবার গত ১২ সেপ্টেম্বর একটি চিঠি দিয়েছে। ওই চিঠিতে পরিষ্কার ভাবে কিছু অভিযোগ তোলা হয়েছে। এই সব অভিযোগগুলোও এবার সিবিআইকে তদন্ত করে দেখতে হবে।