শেষ আপডেট: 25th February 2025 17:14
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মধ্যমগ্রামের বাসিন্দা ফাল্গুনী ও আরতি ঘোষ ট্রলিব্যাগে (Trolley Murder Case) দেহ ভরে কলকাতায় এসেছিলেন। উদ্দেশ্য ছিল, গঙ্গায় মৃতদেহ ফেলে দেওয়া। কুমোরটুলি এলাকা (Kumartuli Case) থেকে স্থানীয় মানুষের তৎপরতায় তাঁরা ধরা পড়েন। এই ঘটনায় কলকাতা পুলিশের তরফে কমিশনার মনোজ ভার্মা (Manoj Verma) জানান, খুব শীঘ্রই মধ্যমগ্রামে যাবে তাঁদের টিম। ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হবে।
ধৃতরা ইতিমধ্যে পুলিশি জেরায় স্বীকার করেছেন যে তাঁরাই ওই প্রৌঢ়াকে খুন করেছেন। তবে তাঁদের বয়ানে কিছু অসঙ্গতি লক্ষ্য করেছে পুলিশ। সেই ক্ষেত্রে তাঁদের খুনের মোটিভ কী ছিল, তা জানতে এখন তৎপর তদন্তকারীরা। সাংবাদিক বৈঠকে এই ঘটনা সম্পর্কে বলতে গিয়ে সিপি মনোজ ভার্মা বলেন, ''মঙ্গলবার সকাল ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে নর্থ পোর্ট থানায় খবর আসে। তবে মূল ঘটনা যেহেতু মধ্যমগ্রামে ঘটেছে তাই সেখানকার পুলিশের সঙ্গে কথা হয়েছে। খুনের কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। আমাদের টিম সেখানে যাবে, ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হবে।''
পুলিশি জেরায় ফাল্গুনী দাবি করেছেন, দুদিন আগে খুন করেছিলেন তিনি। মৃতদেহের পচা গন্ধ ঢাকতে রাসায়নিক স্প্রে করে রাখা হয়েছিল। এই দাবি কতটা সত্যি তা জানার চেষ্টায় পুলিশ। সিপির কথায়, সোমবার বিকেলের দিকে খুনের ঘটনা ঘটেছে। এই সময়ের মধ্যে দেহে পচনের লক্ষণ আসতে পারে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত বিস্তারিত কিছু বলা যাবে না। বারাসত পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে তদন্ত করা হচ্ছে। খুব তাড়াতাড়ি সেখানে কলকাতা পুলিশের টিম যাবে বলেই জানান তিনি।
এখানেও বড় প্রশ্ন, ট্রলিব্যাগে দেহ ভরে মধ্যমগ্রাম থেকে কলকাতা এলেন দুই মহিলা, অথচ কেউ কিছু জানতে পারল না! কীভাবে? দিনের আলোয় প্রকাশ্য রাস্তায় এভাবে ব্যাগে দেহ নিয়ে দুই মহিলার ঘোরার ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠেছে। এই ইস্যুতে সিপির বক্তব্য, প্রতিটি জায়গায়, প্রতিটি গাড়ি ওভাবে পরীক্ষা করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। তবে বিষয়টি মাথায় রাখছে পুলিশ। আগামী দিনে অবশ্যভাবে এই নিয়ে আরও তৎপরতা দেখানো হবে।
মৃত মহিলা ফাল্গুনীর পিসিশাশুড়ি বলেই জানা গেছে। ঠিক কবে খুন হয়েছেন তিনি, কেন ফাল্গুনীর বাড়িতে এসেছিলেন, তার ব্যাপারে এখনও পরিষ্কার করে কিছু যায়নি। ধৃতরা পুলিশকে জানিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে বচসা হয়েছিল। কিন্তু কী নিয়ে ঝামেলা হয়েছিল, তা এখনও পরিষ্কার নয়। যদিও ফাল্গুনী পুলিশকে জানান, সোনার গয়নার ভাগ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ চলছিল তাঁদের। তা থেকেই খুনের ঘটনা।
এদিকে স্থানীয়রা দাবি করেছেন, তাঁদের বাড়িতে রাতে অচেনা লোকজন আসত। পাড়া-পড়শিদের সঙ্গেও তাঁদের অনেকবার ঝামেলা হয়েছে। তাই বিগত কয়েক মাস ধরে ফাল্গুনীরা কার্যত একঘরে হয়েই থাকতেন।