শেষ আপডেট: 24th October 2024 13:09
দ্য ওয়াল ব্যুরো: স্থলভাগের সঙ্গে আরও দূরত্ব কমল দানার। উপগ্রহ চিত্র থেকে আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, শেষ আড়াই ঘণ্টায় আরও ৫০ কিমি এগিয়ে এসেছে দানা।
এই মুহূর্তে পারাদ্বীপ থেকে ২১০ কিলোমিটার, ধামারা থেকে ২৪০ কিলোমিটার ও সাগরদ্বীপ থেকে ৩১০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব দিক অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড়। অর্থাৎ শেষ দু'ঘণ্টায় আরও ৫০ কিমি এগিয়ে এল দানা।
অর্থাৎ ঘণ্টায় গতিবেগও বাড়ছে দানার। এর আগের বুলেটিনে হাওয়া অফিস জানিয়েছিল, ঘণ্টায় ১২ কিমি বেগে বঙ্গোপসাগরের ওপর দিয়ে স্থলভাগের দিকে এগিয়ে আসছে দানা। শেষ আড়াই ঘণ্টায় ৫০ কিমি অতিক্রমের অর্থ ঘণ্টা পিছু গতিবেগ এই মুহূর্তে ২০ কিমি!
বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে শুক্রবার সকালের মধ্যে এটি তীব্র ঘূর্ণিঝড় হিসেবেই ওড়িশা উপকূলে ল্যান্ডফল করবে। ওড়িশার ভিতরকণিকা ও ধামারার কাছে ল্যান্ড ফল করার প্রবল সম্ভাবনা। পুরী থেকে সাগরদ্বীপ পর্যন্ত বিস্তৃত হবে এর প্রভাব। ল্যান্ডফলের সময় ঘণ্টায় এর গতিবেগ সর্বোচ্চ ১২০ কিলোমিটার হতে পারে।
হাওয়া অফিস সূত্রের দাবি, ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়তে পারে পূর্ব মেদিনীপুরে। ল্যান্ডফলের সময় দিঘা, মন্দারমনি-সহ পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূলবর্তী এলাকায় ঘণ্টায় ঝড়ের সর্বোচ্চ গতিবেগ থাকতে পারে ১০০ থেকে ১২০ কিমি। তীব্র জলোচ্ছ্বাস দেখা যেতে পারে সমুদ্রে।
আলিপুর জানাচ্ছে, ল্যান্ডফলের সময় দিঘায় জলোচ্ছ্বাসের উচ্চতা ১ থেকে ২ মিটার হতে পারে। একইভাবে দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপকূলে দশমিক ৫ থেকে ১ মিটার পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাস হতে পারে।
দানার আগমন ঘিরে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে বন্দরেও। আবহাওয়া আধিকারিক সোমনাথ দত্ত বলেন, "হলদিয়া, কলকাতা ও সাগর বন্দরে ৯ নম্বর সর্তকতা জারি করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় যদি বন্দরকে ডান দিকে রেখে অতিক্রম করে তখন আমরা এই ৯ নম্বর সতর্কতা জারি করে থাকি।"
ইতিমধ্যে উপকূলবর্তী এলাকা থেকে সরানো হয়েছে স্থানীয় মানুষকে। পর্যটক কেন্দ্রগুলি থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রশাসন জানিয়েছে, প্রতিটি এলাকায় পর্যাপ্ত নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে। তৈরি রয়েছে আপৎকালীন টিমও।