শেষ আপডেট: 29th October 2024 16:52
দ্য ওয়াল ব্য়ুরো: পটাশপুরের বধূকে কীটনাশক খাইয়ের খুনের ঘটনায় দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। আগামী ২ নভেম্বরের মধ্যে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করার নির্দেশ দেন বিচারপতি। মঙ্গলবার বিচারপতি শম্পা পালের এজলাসে উঠেছিল এই মামলা।
কয়েকদিন আগেই ময়নাতদন্তে রিপোর্ট নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন 'নির্যাতিতার' আত্মীয়রা। তাই দেহ নিতে অস্বীকার করেন। ফলে বধূর দেহ সংরক্ষণ করা হয়। দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের জন্য পরে হাইকোর্টে দ্বারস্থ হন। বিচারপতি কৌশিক চন্দের এজলাসে তাঁরা দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের জন্য আবেদন করেন। এদিন হাইকোর্ট সেই আবেদন মঞ্জুর করে এমন নির্দেশ দিল।
গত অক্টোবর উত্তাল হয়ে উঠেছিল পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুর। বধূকে ধর্ষণ করে কীটনাশক খাইয়ে খুন করার অভিযোগ ওঠে প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। যদিও পুলিশের কাছে প্রথমে ধর্ষণের অভিযোগ করেনি মৃতের পরিবার। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, ওই মহিলার স্বামী বাইরে থাকেন। সন্তানদের নিয়ে তিনি বাড়িতে একাই থাকতেন। গত ৫ অক্টোবর রাতে প্রতিবেশী শুকচাঁদ ও তার দলবল নিয়ে মহিলার বাড়িতে ঢোকে। ওই বধূকে ধর্ষণ করে। সেই সময়ে ঘর থেকে পালাতে গিয়ে মহিলা পা পিছলে উঠোনের কলতলায় পড়ে যান। মাথায় আঘাত লাগে তাঁর। বধূর মুখ বন্ধ করতে তাঁর গলা কীটনাশক ঢেলে দেয় শুকচাঁদ।
প্রতিবেশীদের আরও অভিযোগ, শুকচাঁদ এলাকার অন্য এক মহিলার সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়েছিল। তাদের ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখে ফেলেছিলেন 'নির্যাতিতা'। তারপর থেকে ওই বধূকে প্রাণে মারার হুমকি দিচ্ছিল শুকচাঁদ। ঘটনার সময়ে স্থানীয়রা শুকচাঁদের সঙ্গে তার প্রেমিকাকেও দেখা গিয়েছিল।
ঘটনার পরের দিন ৬ অক্টোবর ভোরে হাসপাতালে বধূর মৃত্যু হলে জনরোষ আঁছড়ে পড়ে শুকচাঁদের বাড়িতে। তাকে বাড়ি থেকে টেনে বের করে ব্যাপক মারধর করেন স্থানীয়রা। গন্ডগোলের খবর পেয়ে, পুলিশ শুকচাঁদকে হাসপাতালে পাঠায়। কিন্তু সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুকচাঁদের মৃত্যু হয়।
এরপরেই জটিলতা তৈরি হয়। পুলিশ জানিয়েছিল, মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে প্রথমে খুনের অভিযোগ করা হয়েছিল। পরে ধর্ষণ হয়েছে বলে অভিযোগ করে নির্যাতিতার পরিবার। পুলিশের প্রথম ময়নাতদন্তের রিপোর্টে ধর্ষণের কোনও প্রমাণ মেলেনি। তবে নির্যাতিতা বিষক্রিয়ায় মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। এই ময়নাতদন্তের রিপোর্ট নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে নির্যাতিতার পরিবার। মৃতের দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের জন্য দাবি জানায়।