শেষ আপডেট: 12th November 2024 18:31
দ্য ওয়াল ব্যুরো: শনিবার সন্ধেয় শিয়ালদহের সুরেন্দ্রনাথ কলেজের পিছনে বৈঠকখানা রোডে এক ব্যক্তির কাছ থেকে পাঁচটি আগেয়াস্ত্র ও ৯০ রাউন্ড গুলি বাজেয়াপ্ত করেছিল পুলিশ।
ঘটনাটিকে বিচ্ছিন্ন কোনও ঘটনা হিসেবে দেখা হচ্ছে না। বরং পুলিশের অনুমান, বাইরে থেকে অস্ত্রের বিভিন্ন পার্টস কলকাতায় এনে সেগুলি রাজ্যের অন্যান্য এলাকায় সরবরাহ করা হচ্ছে। শহরের কোথাও সেই পার্টস যুক্ত করা হচ্ছে কিনা, তা নিয়েও শুরু হয়েছে তল্লাশি। ঘটনার সঙ্গে কে বা কোন চক্র জড়িত রয়েছে, ধৃতকে জেরাব করে তা জানার চেষ্টা করছে কলকাতা পুলিশ।
এ ব্যাপারে কলকাতা পুলিশের সিপি মনোজ ভার্মা বলেন, "আগে মুঙ্গের থেকে অস্ত্র আনতো, এখন পুলিশের নজর ঘোরাতে ওরা একটা অস্ত্রকেই বিভিন্ন ভাগে নিয়ে আসছে। এর নেপথ্যে কোথাও কারখানা রয়েছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।"
সিপি জানিয়েছেন, শুধু কলকাতা নয়, জেলাগুলিতেও লোকাল সোর্স অ্যাক্টিভ করা হয়েছে। বিশেষত জনবহুল এলাকার প্রতি বাড়তি নজরদারি চালানো হচ্ছে। তদন্তের স্বার্থে এর বেশি কিছু এখনই বলা সম্ভব নয় বলেও জানিয়েছেন সিপি। এদিন বডি গার্ডস লাইনে পুলিশের ফুটবল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে এসেছিলেন সিপি। সেখানেই একথা বলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, শনিবার সন্ধেয় গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ শিয়ালদহের সুরেন্দ্রনাথ কলেজের পিছনে বৈঠকখানা রোডে এলাকায় তল্লাশি চালায়। গোপন সূত্রে পুলিশ জানতে পারে, মুঙ্গের থেকে অস্ত্র পাচার হচ্ছে কলকাতায়। এরপর শিয়ালদহের ব্যস্ত জায়গায় তল্লাশি চালাতেই উদ্ধার হয় প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ।
ঘটনার নেপথ্যে কারা রয়েছে তা জানতে বিহারের বাসিন্দা ধৃত মহম্মদ ইসমাইলকে দফায় দফায় জেরা করছেন তদন্তকারীরা। রাজাবাজারে থাকত মহম্মদ ইসমাইল। কার হাতে আগেয়াস্ত্র তুলে দিতে সে বৈঠকখানা রোডে গিয়েছিল, অস্ত্র কোথা থেকে এনেছিল, বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।