দত্তপুকুর থানা এলাকার মধ্যমগ্রামের চণ্ডী গরি এলাকার রাসায়নিক কারখানায় অগ্নি কাণ্ড।
শেষ আপডেট: 30th October 2024 18:02
দ্য ওয়াল ব্যুরো: দত্তপুকুর থানা এলাকার মধ্যমগ্রামের চণ্ডী গরি এলাকার রাসায়নিক কারখানায় এখনও ধিকি ধিকি করে জ্বলছে আগুন। বুধবার দুপুরে ভয়াবহ অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত অগ্নিকাণ্ডে একজনের মৃত্যু এবং তিনজনের গুরুতর অগ্নিদগ্ধ হওয়ার কথা জানিয়েছে প্রশাসন।
দমকল বিভাগের কর্মীরা জানিয়েছেন, কারখানার কিছু পকেটে এখনও আগুন রয়েছে। সেগুলি নেভানোর কাজ চলছে।
কিন্তু মধ্যমগ্রামের বাদুবাজার কাঞ্চনতলা এলাকার এই কারখানার কথা কি প্রশাসন জানত? পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হালিমা বিবি বলেন, "এখানে অনেকগুলো কারখানা রয়েছে বলে জানতাম। তবে এভাবে দাহ্য পদার্থের কারখানা ছিল বলে জানতাম না। প্রয়োজনীয় অনুমতি নিয়ে কারখানা চলছিল কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা হবে।"
অর্থাৎ প্রয়োজনীয় অনুমতি নিয়ে কারখানা চলছিল কিনা তা স্পষ্ট নয় স্থানীয় প্রশাসনের কাছে। ঘটনার পরই স্থানীয়দের একাংশ কারখানায় অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা না থাকার অভিযোগ এনেছিলেন। পুলিশ ও দমকলের তরফে জানানো হয়েছে, তদন্তে সম্ভাব্য সবদিকই খতিয়ে দেখা হবে।
কী কাজ হত এই রাসায়নিক কারখানায়? স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন সদস্য গৌরচন্দ্র ঘোষ বলেন, "যতদূর জানতে পেরেছি এখানে পেট্রল ডিজেলকে পরিশ্রুত করে বায়ো ডিজেলে রূপান্তরের কাজ করা হত। এর আগে একবার ছোটখাটো দুর্ঘটনাও ঘটেছিল, তখনই কারখানা কর্তৃপক্ষকে সাবধান করা হয়েছিল। তবে তারপর কারখানা কর্তৃপক্ষ সে ব্যাপারে আদৌ কোনও পদক্ষেপ করেছিলেন কিনা জানি না।"
কীভাবে আগুন ভয়াবহ আকার নিল? স্থানীয় সূত্রের দাবি, কারখানার বয়লারে আচমকা বিস্ফোরণ হয়। সেই অগ্নি স্ফুলিঙ্গ ছিটকে এসে পড়ে বয়লার চেম্বার ও পাশের গোডাউনে। সেখানে সে সময় কর্তব্যরত অবস্থায় ছিলেন তিন শ্রমিক। নিমেষে তাঁরা অগ্নিদগ্ধ হন। পরে এদের মধ্যে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় একজনের।
তাঁর নাম বিশ্বজিৎ দাস। উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁয় বাড়ি। জখম অপর দু'জন হলেন জয়দেব কর্মকার এবং শ্যাম আলি। অত্যন্ত সঙ্কটজনক অবস্থায় দু’জনেরই চিকিৎসা চলছে হাসপাতালে।
এদিন দুপুরে আচমকা কারখানায় অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটে। দমকলের একাধিক ইঞ্জিনের সাহায্যে চার ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হলেও এখনও ধিকি ধিকি করে জ্বলছে। তবে অগ্নি সংযোগের ঘটনা বা অগ্নি নির্বাপণ নিয়ে স্থানীয়দের অভিযোগ প্রসঙ্গে কারখানা কর্তৃপক্ষর কোনও প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।