শেষ আপডেট: 10th February 2025 15:44
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বাংলার সাম্প্রতিক রাজনীতিতে আমরা-ওরার বিভাজন যেন এখন আরও প্রকট। সামনা সামনি হাসিমুখে কথা বলা তো দূরে থাক, বিপরীত মেরুর রাজনৈতিক নেতা-কর্মীর উদ্দেশে প্রতিপক্ষের অশালীন কটু মন্তব্য শুনতেই অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছে বঙ্গবাসী। সাম্প্রতিক অতীতে বিধানসভাতেও এই দৃশ্য বারে বারে দেখা গিয়েছে।
সোমবার অবশ্য ক্ষণিকের জন্য বিধানসভায় ফিরল সৌজন্যের রাজনীতিও। বাজেট অধিবেশনের সূচনা বক্তৃতার জন্য এদিন বিধানসভায় আসেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তাঁকে রিসিভ করতে যাচ্ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সে সময় বিধানসভা কক্ষে ঢুকছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তখনই মমতা-শুভেন্দুর মুখোমুখি দেখা হয়ে যায়।
সূত্রের খবর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুভেন্দু অধিকারীকে রিসিভ করতে যাওয়ার কথা বলেন, শুভেন্দুও সৌজন্য দেখিয়ে দাঁড়িয়ে যান। মমতার পাশে স্পীকারের ছিলেন, তাঁকে দেখিতে শুভেন্দু বলেন, উনি তো আছেন। এরপর শুভেন্দু ঢুকে যান কক্ষে। মুখ্যমন্ত্রী এগিয়ে যান রাজ্যপালকে রিসিভ করতে।
পর্যবেক্ষকদের অনেকের মতে, শাসক-বিরোধী দলের নেতাদের এখন আর পরস্পরের সঙ্গে সেই অর্থে কথা বলতেও দেখা যায় না। সেদিক থেকে মমতা-শুভেন্দুর ক্ষণিকের এই কথোপকথন সৌজন্যের হিসেবেই দেখছেন পর্যবেক্ষকরা। তাঁদের মতে, সাম্প্রতিক অতীতে এমন নজির বিরল।
এর কিছু পরেই রাজ্যপালের ভাষণ দিয়ে শুরু হয় রাজ্যের চলতি বছরের বাজেট অধিবেশন। সূত্রের খবর, প্রায় নির্বিঘ্নেই রাজ্যপালের ভাষণ সম্পন্ন হয়। তবে রাজ্যপালের ভাষণ শেষ হতেই ফের পুরনো ফর্মে ফেরে বিধানসভা।
বোসের বক্ততা শেষ হওয়ার পরই কালক্ষেপ না করে শাসক-বিরোধী শিবির থেকে শুরু হয় স্লোগান বনাম পাল্টা স্লোগান। জয় শ্রীরাম বনাম জয় বাংলার দাপটে তখন বিধানসভা চত্বরে কান পাতা দায়!