ফাইল ছবি
শেষ আপডেট: 5 May 2025 12:49
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ওয়াকফ ইস্যুতে মুর্শিদাবাদে অশান্তির (Murshidabad) ঘটনার মধ্যেই সেখানে গেছিল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, মহিলা কমিশনের প্রতিনিধি দল। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও মুর্শিদাবাদ সফর করে এসেছেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) সে সময়ে যাননি জেলায়। বরং জানিয়েছিলেন ঠিক সময়ে যাবেন। সোমবার মুর্শিদাবাদ সফরে রওনা দেওয়ার আগে তিনি জানালেন কেন তিনি এত দেরিতে জেলা সফর করছেন।
সংবাদমাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ''আগেই চাইলে মুর্শিদাবাদ যেতে পারতাম। কিন্তু এসব জায়গায় শান্তি ফেরার পরই যাওয়া উচিত। যতক্ষণ না পর্যন্ত শান্তি পুনরায় প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে ততক্ষণ না যাওয়াই ভাল বলে মনে করি।'' মমতা জানান, মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি অনেক আগেই শান্ত-স্বাভাবিক হয়ে গেছে। কিন্তু মাঝে দিঘার জগন্নাথ ধামের অনুষ্ঠান থাকায় জেলা সফর সম্ভব হয়নি।
মুর্শিদাবাদ সফরকালে জেলা পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রশাসনিক বৈঠকের পাশাপাশি দিনভর একাধিক কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ারও কথা রয়েছে তাঁর। মঙ্গলবার ধুলিয়ান, সুতি যেতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুর্শিদাবাদে গিয়ে হিংসায় ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে তিনি কথা বলবেন। মমতা জানান, অনেককেই কলকাতায় নিয়ে আসা হয়েছে। তবে যারা আছে তাঁদের সঙ্গেই কথা বলবেন তিনি। ক্ষতিপূরণের টাকাও দেওয়া হবে। তবে কেউ তা না-নিলে তাঁর কিছু করার নেই।
ওয়াকফের প্রতিবাদে উত্তপ্ত হয় মুর্শিদাবাদ। মৃত্যু হয় তিনজনের। এই ঘটনায় প্রথম থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতির দাবি উঠছিল এলাকায়। পশ্চিম মেদিনীপুরের এক অনুষ্ঠান থেকে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছিলেন, মে মাসের প্রথম সপ্তাহে তিনি ধুলিয়ান ও সামশেরগঞ্জে যাবেন এবং অশান্তির জেরে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও দোকানদারদের সঙ্গে দেখা করবেন। একই সভায় তিনি ঘোষণা করেছিলেন, যাঁদের ঘরবাড়ি পুড়েছে, তাঁদের জন্য রাজ্য সরকারের আবাসন প্রকল্পে ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হবে।
মুখ্যমন্ত্রীর সফরের আগে জেলায় নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হয়েছিল স্বাভাবিকভাবেই। তবে রবিবার রাতে বহরমপুরে গুলি চলার ঘটনা আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। রবিবার রাতে বহরমপুরের মধুপুর এলাকার একটি ক্লাবে স্থানীয় তিন তৃণমূল নেতাকে ঘিরে ফেলে কয়েকজন দুষ্কৃতী। অভিযোগ, তাঁরাও তৃণমূল করেন। প্রথমে বচসা হয়। পরে চেয়ার, পিস্তলে বাট ও লাঠি দিয়ে বেডধড়ক মারধর করা হয়। শূন্যে ছয় থেকে সাত রাউন্ড গুলি চলে। ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে বহরমপুর থানায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বহরমপুর থানার পুলিশ। যদিও ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক।