শেষ আপডেট: 7th December 2024 14:52
দ্য ওয়াল ব্যুরো: জয়নগরের নাবালিকাকে ধর্ষণ-খুনের মামলায় মাত্র ৬২ দিনের মধ্যে অভিযুক্তের ফাঁসির আদেশ দিয়েছে আদালত। এই ঘটনাকে নজিরবিহীন বলেছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। তাঁরা এও জানিয়েছে, মাত্র ২৫ দিনের মধ্যে পেশ করা হয়েছিল চার্জশিট। এই ঘটনার তদন্তের নেপথ্যে কারা ছিলেন, এবার সেই তথ্য সামনে আনা হল।
বারুইপুর পুলিশ জেলার টিম রয়েছে এই ঘটনার তদন্তের নেপথ্যে। তাঁদের সঙ্গেই পরিচয় করিয়ে দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। তদন্তকারী অফিসারদের একটি ছবি পোস্ট করা হয়েছে। সেখানে যারা রয়েছেন তারাই জয়নগর কাণ্ডের তদন্তের কারিগর। কারা ছিলেন এই দলে?
এই মামলার তদন্তকারী অফিসার ছিলেন সাব-ইন্সপেক্টর তন্ময় দাস, সৌগত ঘোষ, আইসি ক্যানিং, পার্থসারথি পাল, আইসি জয়নগর, সতীনাথ চট্টরাজ, আইসি কুলতলী, রূপান্তর সেনগুপ্ত, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (জোনাল), বারুইপুর পুলিশ জেলার এসপি পলাশ ঢালী, সৌতম ব্যানার্জি, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর), অতীশ বিশ্বাস, এসডিপিও বারুইপুর, সুবীর ঢালী, সার্কল ইন্সপেক্টর, জয়নগর, সাব-ইন্সপেক্টর সৌমেন দাস (ওসি, স্পেশ্যাল অপারেশনস গ্ৰুপ), এবং সাব ইন্সপেক্টর ত্রিদিব মল্লিক, ওসি গোসাবা।
শুক্রবার সাজা ঘোষণার পর সাংবাদিক বৈঠক করা হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের তরফে। এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতিম সরকার জানিয়েছিলেন, এই ঘটনায় এমন একটি প্রমাণ ছিল যা তদন্তে সচারচর ব্যবহার করা হয় না। কিন্তু এই মামলাটি এত গুরুত্বপূর্ণ ছিল যে, সেই প্রমাণ ব্যবহার করা হয়েছে। তা হল, 'গেট প্যাটার্ন অ্যানালেসিস'। তিনি বলেন, প্রত্যেকেরই হাঁটাচলা, দৌড়নো, সাইকেলে ওঠা, বাইক চালানোর নিজস্ব ভঙ্গি রয়েছে। নির্দিষ্ট ছন্দ রয়েছে। একটা বিশেষ আচরণ থাকে। এটাকেই বলে 'গেট প্যাটার্ন'। মূল অভিযুক্তই যে ধর্ষণ-খুন করেছে তা এই প্রমাণের দ্বারাই নিশ্চিত হওয়া গেছিল।
পুলিশ এও জানিয়েছে, তাঁদের একটাই উদ্দেশ্য ছিল, যত দ্রুত সম্ভব নির্যাতিতা এবং তার পরিবারকে ন্যায়বিচার দেওয়া। মেয়েটি আর ফিরবে না, কিন্ত অভূতপূর্ব দ্রুততায় যে তাকে এবং তার পরিবারকে তাঁরা 'জাস্টিস' দিতে পেরেছেন, দীর্ঘদিন বিচারহীন থাকতে হয়নি, এটুকুই সান্ত্বনা।