শেষ আপডেট: 9th April 2025 08:17
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ওয়াকফ বিল প্রত্যাহারের (Waqf Bill) দাবিতে মঙ্গলবার ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয় মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরে (Jangipur)। পুলিশের গাড়িতে আগুন লাগানো থেকে শুরু করে তাঁদের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ, একেবারে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি হয়েছে। বিল প্রত্যাহারের দাবিতে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করতে যায় বিক্ষোভকারীরা। সেই সময়ে তাঁদের ওপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ। আর এই বিষয়টি নিয়েই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রাজ্যেরই মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী (Siddiqullah Chowdhury)। বাম সরকার আমলের তুলনা টেনে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সিদ্দিকুল্লা।
মঙ্গলবার ওয়াকফ আইনের বিরোধিতা করে সংখ্যালঘু ছাত্র ও যুব সংগঠন পথে নেমেছিল। তাঁদের সঙ্গেই কার্যত সংঘাত হয় পুলিশের। লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে তাঁরা। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব পুলিশের ভূমিকায় খুশি। তাঁদের বক্তব্য, দারুণভাবে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে পুলিশ। কিন্তু রাজ্যেরই মন্ত্রী পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সরব হয়েছেন। তাঁর কথায়, 'বাম জমানায় পুলিশ কিন্তু এভাবে লাঠিপেটা করেনি।'
সিদ্দিকুল্লার বক্তব্য, একটা বিষয় নিয়ে বিক্ষোভ চলছিল। কিন্তু এমন কোনও পরিস্থিতি তৈরি হয়নি যে পুলিশকে লাঠিপেটা করতে হবে। বাম জমানাতেও এমনটা হয়নি, এটা একদম সত্যি। মন্ত্রী অবশ্য এও বলছেন, বিরোধী হলেও তাঁরা পুলিশকে এমন কোনও সুযোগও দেননি। যদিও পুলিশের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে।
আচমকা ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করতে যায় আন্দোলনকারীরা। তখন পুলিশ বাধা দিলে পুলিশের ওপর চড়াও হয় জনতা। পুলিশকে শুরু করে ইট ছুড়তে শুরু করে। পুলিশের দুটি গাড়ি জ্বালিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিয়ার গ্যাসের সেল ফাটায় পুলিশ। তারপরই শুরু হয় লাঠিচার্জ।
গত দুদিন ধরে জঙ্গিপুর, সুতি, সামশেরগঞ্জ, রঘুনাথগঞ্জ এলাকায় দফায় দফায় বিক্ষোভ হয়েছে ওয়াকফ বিলের বিরোধিতা করে। মঙ্গলবারই পরিস্থিতি চরমে পৌঁছয়। জনতার ছোড়া ইটের ঘায়ে দুই পুলিশ কর্মী জখম হয়েছেন বলে পুলিশের দাবি। প্রাথমিকভাবে পুলিশ পিছু হটলেও পরে জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার সুপার আনন্দ রায়ের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।