ফাইল ছবি
শেষ আপডেট: 30 November 2024 14:25
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ধান বিক্রিতে কোনওভাবেই কারচুপি নয়। দালাল চক্র আটকাতে একাধিক পদক্ষেপ নিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। ধান কেনা-বেচা করতে গেলে কী কী বিষয় মাথায় রাখতে হবে তা নিয়ে নবান্নে বৈঠক বসে। নবান্ন থেকে ভার্চুয়ালি এই বৈঠক পরিচালনা করেন মুখ্যসচিব। হাজির ছিলেন সব জেলার জেলাশাসক, খাদ্য দফতরের জেলা স্তরের আধিকারিকরা।
প্রতিবছর চাষিদের সাহায্যের জন্য সরকারিভাবে ধান কেনে রাজ্য। এ বছরও সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কিন্তু ধান কেনাতেই বড় কারচুপির অভিযোগ উঠেছে। মাথাচাড়া দিচ্ছে অসাধু দালাল চক্র। সম্প্রতি দলের বেশ কয়েকজন বিধায়ক এমন অভিযোগ জানাতেই মুখ্যসচিবকে তদন্তের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরই বৈঠকে বসেন মুখ্যসচিব পন্থ।
তিনি এদিনের বৈঠকে বেশ কিছু নির্দেশ দিয়েছেন। বলা হয়েছে, ধান বিক্রির ক্ষেত্রে দালালদের কোনওরকম ভূমিকা থাকবে না তা নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া ধান বিক্রয় কেন্দ্রগুলিতে যাতে কোনওরকম কারচুপি না হয় প্রয়োজনে সিসিটিভির সংখ্যা বাড়াতে হবে। পাশাপাশি কোনও দালাল ধান বিক্রয় কেন্দ্রের পাশে ঘোরাফেরা করছে কিনা, সবসময় কড়া নজর রাখতে হবে। দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিককেই এই দায়িত্ব সামলাতে হবে।
মুখ্যসচিবের নির্দেশ ধান বিক্রয় কেন্দ্রগুলিতে সবসময় নজর রাখতে হবে পুলিশ সুপার, জেলা শাসকদের। এছাড়া জেলা স্তরে মিটিং করে জনপ্রতিনিধিদেরও এ কাজে যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এছাড়াও কৃষকদের সচেতনতা বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ধান বিক্রিতে বেনিয়মের অভিযোগ তুলে নালিশ জানিয়েছিলেন সাগরদিঘির বিধায়ক বাইরন বিশ্বাস। তাঁর অভিযোগ, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী যেখানে ৩ কেজি ধান কাটার নিয়ম, সেখানে ৫ কেজি করে কেটে নেওয়া হচ্ছে। এতে চরম সর্বনাশ হচ্ছে চাষিদের।
উল্লেখ্য, ধানের মধ্যে ধুলো, বালি, কাঠি ইত্যাদি থাকে। সে কারণে কুইন্ট্যাল পিছু ধান থেকে ৩ কেজি করে বাদ দেওয়া হয়। কিন্তু এবার সেখান থেকে একেবারে ৫ কেজি বাদ চলে যাচ্ছে। যার ফায়দা পকেটে পুরছে দালালরা। কিন্তু আগামীদিনে এমন যাতে না হয় তা দ্রুত নিশ্চিত করার নির্দেশ রাজ্যের।