মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
শেষ আপডেট: 6 April 2025 10:15
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে জিএসটি (GST) সংগ্রহের ক্ষেত্রে দেশের সার্বিক বৃদ্ধির হারের তুলনায় বাংলার হার বেশি। সোশ্যাল মাধ্যমে এই তথ্য দিয়েছেন খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। স্বাভাবিকভাবেই তিনি উচ্ছ্বসিত এবং শুভেচ্ছাবার্তা দিয়েছেন রাজ্যের অর্থ দফতরকেও।
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে জিএসটি বাবদ ৪ হাজার ৮০৮ কোটি টাকা বেশি সংগ্রহ হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে জিএসটি আদায়ে দেশের সার্বিক বৃদ্ধির হার ছিল ৯.৪৪ শতাংশ। বাংলায় তার তুলনায় জিএসটি সংগ্রহ বৃদ্ধির হার প্রায় ২ শতাংশ বেড়ে ১১.৪৩ শতাংশ হয়েছে বলেও জানিয়েছেন মমতা। তাঁর কথায়, 'এই সাফল্য বুঝিয়ে দেয় রাজ্য স্বনির্ভরতা এবং অর্থনৈতিক শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পেরেছে এবং ধীরে ধীরে আরও উন্নতি করছে। রাজ্যের অর্থ দফতরকেও আমি অভিনন্দন জানাচ্ছি।'
জিএসটির দু’টি ভাগ থাকে। একটি ভাগ কেন্দ্রীয় সরকার পায়, যাকে সিজিএসটি বলে এবং অপর ভাগটি পায় রাজ্য, যাকে বলা হয় এসজিএসটি। কোনও পণ্য এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে বিক্রি হলে তখন নেওয়া হয় ‘ইন্টিগ্রেটেড জিএসটি’ বা আইজিএসটি। এর টাকা প্রথমে পুরোটাই কেন্দ্রের কাছে যায়। তবে শুল্কের একটি অংশ পরে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারের কাছে পাঠানো হয়। সেই টাকা এসজিএসটি বাবদ রাজ্য পায়।
Glad to share that West Bengal is steadily progressing in its own resource mobilization efforts, which is evident from the fiscal results compiled at the end of the FY 2024-25.
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) April 6, 2025
In GST in 24-25, we have collected Rs. 4808 crore more than the preceding year, which shows 11.43%…
ক'দিন আগে বিদ্যুতেও সেরার শিরোপা পেয়েছিল বাংলা। সে নিয়েও তথ্য দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এক্স হ্যান্ডেলে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ২০২৪-২৫ সালের জন্য কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ (CEA) WBPDCL-এর সাঁওতালদিহ তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রকে (PLF ৯৪.৩৮%) দেশের সেরা (প্রথম স্থান) কর্মক্ষম তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র হিসেবে স্থান দিয়েছে। এছাড়াও দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বীরভূমের বক্রেশ্বর কেন্দ্র (PLF ৯৩.৩%), চতুর্থস্থানে সাগরদিঘি (PLF ৯০.৮৬%) এবং নবম স্থানে ব্যান্ডেল (PLF ৮৯.৬২%) তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে।