শেষ আপডেট: 22nd October 2024 09:28
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ঘূর্ণিঝড় 'দানা' চোখ রাঙাচ্ছে। বুধবার থেকে বাংলার আবহাওয়ায় পরিবর্তনের পূর্বাভাস দিয়ে রেখেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। মঙ্গলবার ভোর থেকেই ঠান্ডা হাওয়া অনুভব করা যাচ্ছে। সাগরের নিম্নচাপের টানে গতি বেড়েছে উত্তরের হাওয়ার।
মঙ্গলবারের মধ্যেই পর্যটকশূন্য করা দেওয়া হচ্ছে পুরী। ভিন রাজ্য থেকে ঘুরতে আসা পুণ্যার্থীদের বুধবারের আগেই পুরী ছাড়ার জন্য বলে দিয়েছে ওড়িশা সরকার। নিজের রাজ্যে ফিরে যাওয়ার কথাও বলা হয়েছে। বৃহস্পতি ও শুক্রবার কোনও পর্যটককে পুরী ভ্রমণে না আসার পরামর্শও দিয়ে রেখেছে প্রশাসন।
অন্যদিকে, পূর্ব মেদিনীপুরেও দিঘা, মন্দারমণি, তাজপুরের মতো বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রের দিকে নজর রাখছে রাজ্য প্রশাসন। মঙ্গলবার সকাল থেকেই কার্যত পর্যটকহীন সমুদ্রতীর।
কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমেছে ২৪.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। জেলায় আরও কিছুটা কম রয়েছে রাতের তাপমাত্রা। আবহাওয়া দফতর বলছে, বুধবার থেকেই মেঘ ঢুকতে শুরু করবে বাংলার আকাশে। বৃষ্টির সম্ভাবনাও। বাড়বে।
এখনও পর্যন্ত যা খবর, বৃহস্পতিবার রাতে বাংলা-ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় 'দানা'। বৃহস্পতিবার রাতে বা শুক্রবার সক্কাল সক্কাল ল্যান্ডফল হওয়ার কথা রয়েছে। পুরী ও সাগরদ্বীপের কাছে ধামরা বন্দরের কাছে ল্যান্ডফল হওয়ার কথা। ২৪ ও ২৫ অক্টোবরের মধ্যে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা দেওয়া রয়েছে।
ইতিমধ্যেই প্রশাসন তৎপর। সুন্দরবনে মৎস্যজীবীদেরকে মাছ, কাঁকড়া ধরতে নিষেধ করে রেখেছে ঝড়খালি উপকূল থানার পুলিশ। নৌকা-সহ মৎস্যজীবীদের ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সমুদ্র থেকে সমস্ত ট্রলার ফিরিয়ে আনা হয়েছে ইতিমধ্যেই।
সোমবার থেকে শনিবার পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। সাগর, নামখানা, ফ্রেজারগঞ্জ, বকখালিতে কন্ট্রোলরুম খুলে রেখেছে প্রশাসন। উপকূলের বাসিন্দাদের উঁচু এলাকায় দ্রুত সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।