শেষ আপডেট: 16th September 2024 09:39
দ্য ওয়াল ব্যুরো: শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে নাগাড়ে বৃষ্টি। তা সোমবার সকালেও বহাল। আর এই পরিস্থিতি আপাতত বজায় থাকবে বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস। নিম্নচাপ এবং মৌসুমী অক্ষরেখার জোড়া ফলায় এমন আবহাওয়ার সৃষ্টি হয়েছে। তাই এই মুহূর্তে বৃষ্টি বন্ধ হবে না।
আবহাওয়া দফতর আগেই পূর্বাভাস দিয়েছিল, অতি গভীর নিম্নচাপ যা গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে কলকাতার কাছাকাছি অবস্থা করছে তা পশ্চিমের জেলাগুলির দিকে সরে যাবে। শেষ ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এমনটাই হয়েছে। তাই কলকাতা সহ সংলগ্ন একাধিক জেলায় লাগাতার বৃষ্টি হয়েছে শনিবার এবং রবিবার। তার সঙ্গে ছিল ঝোড়ো হাওয়া। সোমবারও প্রায় একই পরিস্থিতি রয়েছে যদিও আজকের পর থেকে বৃষ্টি কিছুটা কমবে বলেই আভাস মিলেছে।
এই মুহূর্তে মৌসুমী অক্ষরেখা সক্রিয় রয়েছে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে। এদিকে, অতি গভীর নিম্নচাপ খুব ধীর গতিতে এগোচ্ছে। আপাতত সেটি ঝাড়খণ্ড ও সংলগ্ন পশ্চিমের জেলাগুলিতে অবস্থান করছে। সোমবার সকালের পর এটি শক্তি হারিয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে।
এই নিম্নচাপের জেরেই কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর সহ একাধিক জেলায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে বিক্ষিপ্তভাবে। তবে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন অঞ্চলে দুর্ভোগ বেড়েছে এই আবহাওয়ার কারণে। ইতিমধ্যে স্থানীয় মানুষ আশঙ্কা করছেন যে, মাটির বাঁধগুলি ভেঙে যেতে পারে।
অন্যদিক, রবিবার পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়া নিষেধ থাকলেও ৩টি ট্রলার গেছিল বলে জানা গেছে। সেই ট্রলারের ৬৪ জন মৎস্যজীবী বর্তমানে নিখোঁজ! তাঁদের খুঁজতে অভিযান চালিয়েছে উপকূলরক্ষী বাহিনী। মঙ্গলবার থেকে আবহাওয়ার উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। তাই মৎস্যজীবীদের সুরক্ষিত অবস্থায় উদ্ধার করা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
দক্ষিণবঙ্গের মতো উত্তরবঙ্গেও বৃষ্টি হচ্ছে কয়েকদিন ধরে। তবে মঙ্গলবার থেকে পুরোপুরি পরিষ্কার আকাশ। শুধু পার্বত্য এলাকায় বিক্ষিপ্ত ভাবে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকবে।