প্রতীকী ছবি
শেষ আপডেট: 8 May 2025 19:05
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বছরের প্রথম ঘূর্ণিঝড়ের আভাস মিলল। চলতি মাসের শেষেই বাংলায় আছড়ে পড়তে পারে জোড়া ঘূর্ণিঝড় (Cyclone Update)। এই মে-তেই আমফান, আয়লার মতো ঘূর্ণিঝড় দেখেছে বাংলা। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উপকূলবর্তী এলাকা। সেই স্মৃতি কি ফিরে আসবে।
বাংলাদেশের আবহাওয়া (Weather) সংস্থা জানিয়েছে, মে মাসের ১৭ থেকে ২০ তারিখের মধ্যেই বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হওয়ার অনুকূল পরিবেশ তৈরি হতে পারে। তবে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হলে তার গতিপথ কোনদিকে হবে এবং কতটা শক্তিশালী হবে, সেই নিয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি।
চলতি মাসে বঙ্গোপসাগরে তিনটি নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। সেগুলির মধ্যেই একটি কিংবা দুটি শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। মৌসম ভবনের তরফে এখনও কিছু জানানো হয়নি।
২০২০ সালে আছড়ে পড়েছিল 'সুপার সাইক্লোন' (Super Cyclone) আমফান। যার জেরে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এটিই ছিল বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া শতাব্দীর প্রথম সুপার সাইক্লোন। রিপোর্ট বলছে, আমফানে (Cyclone Amphan) কমপক্ষে ৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে। কয়েকশো ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছিল। ২০০৯ সালে 'আয়লা' বাংলার উপকূলে আঘাত হানে। এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম রেখেছিল মালদ্বীপ। জানা গিয়েছিল, 'আয়লা'র (cyclone Aila) কোপে প্রায় ১৫০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। যোগাযোগ বিচ্ছিন হয়ে গিয়েছিল। হাওড়া, হুগলি, পূর্ব মেদিনীপুর-সহ একাধিক জেলা বিপুলভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এরফলে সুন্দরবনে বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। আশ্রয় হারিয়েছিলেন বহু মানুষ।
বাংলায় বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি চলছে। উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গ- উভয় ভাগেই ভারী বর্ষণ হয়েছে। তবে আগামী কয়েকদিন বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর (Weather Office)। শনিবার ও রবিবার উত্তরের সব জেলাতেই বৃষ্টিপাত হবে। উত্তর চব্বিশ পরগনা, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া- দক্ষিণবঙ্গের এই ৭ জেলায় মাঝারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। একইসঙ্গে বজ্রবিদ্যুতের সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস।
শুক্রবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের (South Bengal) জেলাগুলিতে তাপমাত্রা বাড়তে পারে। উত্তরবঙ্গের নিচের দিকের জেলাগুলিতেও শুষ্ক আবহাওয়া। রবিবারের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা তিন থেকে চার ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে বলে অনুমান আবহাওয়া দফতরের।