দ্য ওয়াল ব্যুরো: রাজ্যের আবহাওয়া প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হচ্ছে, এবং রোদ-বৃষ্টির দোলাচলে রাজ্যবাসী সমস্যায় পড়ছেন। বর্তমানে পাঞ্জাব, পশ্চিম হরিয়ানা এবং উত্তর রাজস্থান অঞ্চলে একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা সক্রিয় রয়েছে। রাজস্থান থেকে মধ্যপ্রদেশ এবং বাংলাদেশ পর্যন্ত ঘূর্ণাবর্ত সঞ্চালনের ট্রফ লাইন প্রবাহিত হওয়ার কারণে দেশের আবহাওয়া ব্যাপক পরিবর্তিত হয়েছে। আবহাওয়া দফতর পূর্বাভাস দিয়েছে, ৩ মে থেকে পূর্ব ভারতে এবং ৬ মে পর্যন্ত উত্তর-পশ্চিম ভারতে বৃষ্টিপাত এবং বজ্রপাত হতে পারে।

আবহাওয়া দফতরের আরো পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কেরালা, লাক্ষাদ্বীপ, উপকূলীয় অন্ধ্রপ্রদেশ এবং রাজস্থানের কিছু অংশে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত এবং বজ্রপাতের সঙ্গে বিচ্ছিন্নভাবে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। পাঞ্জাব, হরিয়ানা, দিল্লি, রাজস্থান এবং পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত, বজ্রঝড় এবং ধুলোঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে।

অন্যদিকে সিকিম, উত্তর-পূর্ব ভারত, বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্তিশগড়ের কিছু অংশে বজ্রপাত এবং তীব্র বাতাসের সঙ্গে হালকা থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। ৬ মে পর্যন্ত পাঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগড়, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ এবং রাজস্থানে ৪০-৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে বজ্রপাত এবং তীব্র বাতাস বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ৫ মে পর্যন্ত রাজস্থানের বিভিন্ন স্থানে ধুলোঝড়ের প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।

আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, তেলেঙ্গানা, বিদর্ভ, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং দক্ষিণ কর্ণাটকের কিছু অংশে হালকা থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। পশ্চিম হিমালয় অঞ্চলেও কিছু স্থানে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের পাশাপাশি ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে, যার ফলে ১-২টি স্থানে ভূমিধস এবং কাদা ধসের সম্ভাবনা রয়েছে।

৬ মে পর্যন্ত বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গে বৃষ্টি এবং বজ্রপাত হতে পারে। মধ্যপ্রদেশ, বিদর্ভ, ছত্তিশগড়ে বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টিপাতের সঙ্গে বজ্রপাত এবং তীব্র বাতাসের গতিবেগ ৪০-৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা হতে পারে, যা ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। ৩ মে, শুক্রবার হিমাচল প্রদেশের কিছু স্থানে শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে, বলছে আবহাওয়া বিভাগ।