শেষ আপডেট: 12th November 2018 11:44
সদস্যদের ধরপাকড় করলে ভোট বয়কটের হুমকি দিল বিএনপি
দ্য ওয়াল ব্যুরো : রবিবারই বিএনপি ঘোষণা করেছে, আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেবে। কিন্তু সোমবার তারা বলল, সরকার যদি আমাদের সদস্য ও সমর্থকদের ধরপাকড় করতে থাকে তাহলে ভোটে অংশগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে। বিএনপি অবশ্য এর মধ্যে জানিয়ে দিয়েছে, জেলবন্দি নেত্রী খালেদা জিয়া লড়বেন তিনটি আসনে। একইসঙ্গে ভোট বয়কটের হুমকিও দিয়েছে । সোমবার ঢাকার নয়া পলটনে বি এন পির অফিসে দলের সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগির বলেন, এখনও পর্যন্ত দেশে নির্বাচনের মতো পরিস্থিতি নেই । সরকার আমাদের বহু সদস্য ও সমর্থককে বন্দি করছে। আমরা বার বার কয়েকটি দাবি করা সত্ত্বেও মানেনি । এই অবস্থার উন্নতি না হলে আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করব । রবিবার মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগির বলেছিলেন, সাতদফা দাবির ভিত্তিতে আমরা নির্বাচনে লড়ছি। তার অন্যতম দাবি হল, খালেদা জিয়ার মুক্তি । দেশের বৃহত্তর স্বার্থের কথা আমাদের মাথায় আছে। আমরা চাই স্বৈরাচার শেষ হয়ে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হোক। আমাদের হাজার হাজার কর্মী ও সমর্থক বন্দি আছেন। আমরা তাঁদের জন্য লড়াই করছি। ১৯৭৮ সাল থেকে বাংলাদেশের প্রধান দুটি গুরুত্বপূর্ণ দলের একটি হল বিএনপি । ২০১৪ সালের ভোট তারা বয়কট করে। দেশে ২০ টি দলের জোট জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টও এবার নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। তার নেতা হলেন ৮১ বছর বয়সী রাজনীতিক তথা আইনজীবী কামাল হোসেন। তাঁদের দাবি, ভোটের কয়েক সপ্তাহ আগে তদারকি সরকার ক্ষমতায় আসুক। না হলে আওয়ামি লিগ প্রশাসনের সাহায্য নিয়ে ভোটের ফলাফল প্রভাবিত করতে চাইবে । আওয়ামি লিগের বক্তব্য, এই দাবি অসাংবিধানিক । ২০১৪ সালে বি এন পি-ও দাবি করেছিল, তদারকি সরকারের অধীনে ভোট হোক। সেই দাবি সরকার না মানায় তারা ভোট বয়কট করে । গতবারের ভোটে বাংলাদেশে ব্যাপক হিংসা ছড়িয়ে পড়ে । আন্তর্জাতিক মহল ওই নির্বাচন নিয়ে খুশি হতে পারেনি । মায়ানমারের রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের আশ্রয় দিয়ে শেখ হাসিনার সরকার বিদেশের প্রশংসা পেয়েছে বটে কিন্তু একইসঙ্গে দেশের অভ্যন্তরে ছাত্র আন্দোলন দমন বা বাক স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়ার অভিযোগে আওয়ামি লিগ নেত্রীর বিরুদ্ধে সরব হয়েছে অনেকে । বিরোধীদের দাবি, তাঁরা নির্বাচিত হলে দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরে আসবে।