দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে বুধবার উত্তাল হয়েছে মহেশতলা। ঘটনায় পুলিশও আক্রান্ত হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
এসপি, ডায়মন্ড হারবার
শেষ আপডেট: 12 June 2025 08:27
দ্য ওয়াল ব্যুরো: দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে বুধবার উত্তাল হয়েছে মহেশতলা (Maheshtala Incident)। ঘটনায় পুলিশও আক্রান্ত হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তবে বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক (Press Meet) করে এসপি, ডায়মন্ড হারবার (SP, Diamond Harbour) বলেন, সঠিক সময়ে অ্যাকশন নিয়েছে পুলিশ। বেশি বাড়াবাড়িও করা হয়নি, এবার বিষয়টি লঘু করেও দেখা হয়নি। যতটুকু দরকার, ততটুকুই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
পুলিশের তরফে জানান হয়েছে, বুধবারের ঘটনার জন্য তিনটে মামলা রুজু করা হয়েছে এবং এখনও অবধি মোট ২৯ জনকে গ্ৰেফতার করা হয়েছে। এছাড়া থানা এলাকায় বর্তমানে ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতার ১৬৩ নং ধারা বলবৎ করা হয়েছে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে। আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, পরিস্থিতি বর্তমানে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে যদিও পুলিশি নজরদারি চলছে।
দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে বুধবার বিকেলের পর থেকে অশান্ত হয়ে ওঠে মহেশতলা। স্থানীয় সূত্রের খবর, দোকান বসানোকে কেন্দ্র করে গোলমালের পরিস্থিতি তৈরি হয়। বেশ কয়েকটি দোকান ও বাড়িতে ভাঙচুর করা হয়। খবর পেয়ে পরিস্থিতি সামলাতে গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়ে উন্মত্ত জনতা। তাতে জখম হয় একাধিক পুলিশ কর্মী। প্রায় গভীর রাত পর্যন্ত ওই এলাকার পরিস্থিতি উত্তপ্ত ছিল।
এমন পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার সকালেই সাংবাদিক বৈঠক করেন ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার এসপি। তিনি জানান, বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার পর থেকে অশান্তি শুরু হয়েছিল। ইতিমধ্যে সেখানের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ১০টি পুলিশ পিকেট বসানোা হয়েছে এলাকায়। তাঁর স্পষ্ট কথা, একদিনের ঘটনা বলে একে ছেড়ে দেওয়া হবে না। তদন্ত এখনও চলছে এবং এফআইআরের সংখ্যা বাড়লে আরও গ্রেফতারি হবে। এসপি-র কড়া বার্তা, 'কোনও ধর্মান্ধতা বরদাস্ত করা হবে না।'
সাংবাদিক বৈঠক থেকে পুলিশ এও জানিয়েছে, প্রচুর বোমার মশলা উদ্ধার করেছে বজবজ থানার পুলিশ। আর এই ঘটনায় সক্রিয় এক আরএসএস কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।