শেষ আপডেট: 8th May 2024 18:32
দ্য় ওয়াল ব্যুরো: উচ্চ মাধ্যমিকের মেধা তালিকায় প্রথম দশে নিজেদের জায়গা করে নিয়েছেন তাঁরা। তবে প্রতিযোগিতার ইঁদুর দৌড়ে সামিল না হয়ে অন্য স্বপ্ন বুনছেন সুস্বাতী-অদ্বিতীয়-অন্তরারা।
বাঁকুড়া মিশন গার্লস হাইস্কুলের ছাত্রী সুস্বাতী কুণ্ডু ৫০০ র মধ্যে ৪৯২ নম্বর পেয়ে উচ্চ-মাধ্যমিকের মেধা তালিকায় পঞ্চম স্থান দখল করেছেন। তবে শাস্ত্রীয় নৃত্যের সৃজনশীল পথেই কেরিয়ার গড়তে আগ্রহী তিনি। ভারতনাট্যমের কৃতী ছাত্রী তিনি। বললেন, "সেই ছোট থেকেই নাচ শিখি। নাচের ছন্দেই আমি খুঁজে পাই জীবনের সমস্ত আনন্দ। সেই আনন্দেই করি পড়াশোনাটাও। পরীক্ষা ভাল হয়েছিল। তবে মেধা তালিকায় আসতে পারব এতটা ভাবিনি। এখন ভুগোল নিয়েই কলেজে ভর্তি হব। তবে আমার স্বপ্ন আগামী দিনে একজন প্রতিষ্ঠিত নৃত্য শিল্পী হওয়া।"
বাঁকুড়া শহরের বাড়িতে বসে সুস্বাতী জানায়, ইংরেজী ও ভূগোলে গৃহশিক্ষক ছিলেন। বাংলা পড়তেন বাবার কাছে। আর কাকিমা দেখিয়ে দিতেন সংস্কৃত। নাচ যেমন ভালবেসে করতেন, পাশাপাশি পড়াশোনাটাও করেছেন মন দিয়ে। তার ফল মিলেছে। আগামীতে এই দুটি ক্ষেত্রকেই আরও সমৃদ্ধ করতে চান সুস্বাতী।
নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের ছাত্র অদ্বিতীয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রাপ্ত নম্বর ৪৮৮। মেধা তালিকায় নবম। রহড়া রামকৃষ্ণ মিশনে পড়েছেন ছোট থেকে। মাধ্যমিকের পর ভর্তি হন নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনে। বাংলা ও ইংরেজির সঙ্গেই পড়েছেন অর্থনীতি,রাষ্ট্রবিজ্ঞান অঙ্ক ও ভূগোল। ভবিষ্যতে অর্থনীতি নিয়ে পড়তে চান অদ্বিতীয়। বারাসতের হাটখোলার বাড়িতে বসেই দেশের অর্থনীতিকে আরও চাঙ্গা করার স্বপ্ন দেখে সে।
অদ্বিতীয়র কথায়, "ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার ইচ্ছে ছিল না কখনই। আমার পড়াশোনার বিষয় হবে একটু অন্য। এমনটাই ভেবেছিলাম। তাই ভালবাসার বিষয়গুলি নিয়েই ভর্তি হয়েছিলাম নরেন্দ্রপুরে। মেধা তালিকায় জায়গা করে নিতে পেরে ভাল লাগছে খুব। এখন অর্থনীতি নিয়েই এগোতে চাই।"
৪৮৭ নম্বর পেয়ে এই বছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় দশম স্থান অধিকার করেছেন কাটোয়ার মেঝিয়ারি সতীশ চন্দ্র স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ের কলা বিভাগের ছাত্রী অন্তরা শেঠ। অন্তরার বাবা মা দুজনেই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। অন্তরার প্রিয় বিষয় ইংরেজি সাহিত্য। বাংলা, ইংরেজি, ইতিহাস, ভূগোল, পুষ্টি বিজ্ঞান ও দর্শন নিয়ে পড়াশোনা করা অন্তরার এমন নজরকাড়া ফলে আনন্দের বাঁধ ভেঙেছে তার পরিবার ও স্কুলে। অন্তরার বাবা অমিতাভ শেঠ পাজোয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। বললেন, "মেয়েকে পড়তে বসার কথা বলতে হত না, ভাল রেজাল্ট করার খিদেই এমন সাফল্য এনে দিল।" ইংরেজি সাহিত্য নিয়ে পড়াশোনা করেই নিজের জীবন গড়ে নিতে চান অন্তরা।