উচ্চমাধ্যমিকে প্রথম অভীক দাস (বাঁ দিকে), দ্বিতীয় সৌম্যদীপ সাহা (ডানদিকে)। নিজস্ব চিত্র।
শেষ আপডেট: 8th May 2024 14:38
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বিজ্ঞান নিয়েই পড়তে চান উচ্চ মাধ্যমিকে প্রথম আলিপুরদুয়ারের অভীক দাস। তাঁর স্বপ্ন সৌরপদার্থবিজ্ঞানী হওয়ার। গবেষণাকেই লক্ষ্য হিসেবে বেছে নিয়েছেন অভীক। দ্বিতীয় নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের সৌম্যদীপ সাহা আবার গতানুগতিক ডাক্তারি-ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পথে চলতে চান না। তাঁর পছন্দের বিষয় স্ট্যাটিস্টিক্স।
এবারের উচ্চমাধ্যমিকেও জেলা এগিয়ে। পাশের হারে শীর্ষেই পূর্ব মেদিনীপুর, পাঁচ নম্বরে কলকাতা। উচ্চমাধ্যমিকে প্রথম অভীক দাস আলিপুরদুয়ারের ছেলে। ৪৯৬ নম্বর পেয়েছেন অভীক। আলিপুরদুয়ারের ম্যাক উইলিয়ামস উচ্চ বিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র অভীক মাধ্যমিকে চতুর্থ হয়েছিলেন। বরাবরই স্কুলে প্রথম স্থানেই থেকেছেন। উচ্চ মাধ্যমিকেও প্রথম দশে থাকাই লক্ষ্য ছিল অভীকের। তাই পরিশ্রমও করেছেন। আত্মবিশ্বাস ছিল কানায় কানায়।
অভীক বলছেন, “সারাদিনই পড়াশোনা করেছি। প্রথম দশ কেন প্রথম পাঁচে থাকবই ভেবেছিলাম। তাই হয়েছে। প্রথম হতে পেরে আমি উচ্ছ্বসিত।” সময় ধরে পড়েছেন অভীক। মুখস্থ বিদ্যার চেয়ে বিষয়ের গভীরে গিয়ে কনসেপ্ট ধরে পড়াই পছন্দ করেন আলিপুরদুয়ারের মেধাবী ছাত্রটি। তিনি বলছেন, “বিষয়ের সারমর্ম ধরে পড়াই আসল। মুখস্থ বিদ্যা বেশিদিন টেকে না। কনসেপচুয়াল লার্নিংই সাফল্যের চাবিকাঠি।” ভবিষ্যতে অ্যাস্ট্রোফিজিক্স নিয়ে পড়তে চান অভীক। গবেষণা করে বিজ্ঞানী হওয়াই তাঁর ভবিষ্যতের লক্ষ্য।
গতানুগতিক ডাক্তারি বা ইঞ্জিনিয়ারিংকে পেশা হিসেবে বেছে নিতে চান না নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের সৌম্যদীপ সাহা। এবারে উচ্চ মাধ্যমিকে দ্বিতীয় হয়েছেন সৌম্যদীপ। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৫। নরেন্দ্রপুরের মেধাবী ছাত্রটি স্ট্যাটিস্টিক্স নিয়ে পড়াশোনা করতেই আগ্রহী।
ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিকাল ইনস্টিটিউট (আইএসআই)-তে স্ট্যাটিস্টিক্সে অনার্স নিয়ে পড়াশোনা শুরু করতে চান সৌম্যদীপ। তারপর গবেষণা তো আছেই। সামনে লম্বা পথ। পড়াশোনাকেই মূল মন্ত্র করে এগিয়ে যেতে চান। কারণ সৌম্যদীপের কাছে পড়াশোনা বোঝা নয়, ভালবাসা।
লক্ষ্যের পথে গড়পড়তা ইঁদুর দৌড়ে সামিল হওয়া পছন্দ নয় নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের মেধাবী ছাত্রটির। পছন্দের বিষয়টি তাঁর এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা, কোনওভাবেই তা বোঝা বা বাধ্যবাধকতা নয়। কারণ পড়াশোনাকে বোঝা নয়, বাহন করেছেন সৌম্যদীপ। পড়াশোনাই সেই মাধ্যম যা তাঁকে লক্ষ্যে এগিয়ে নিয়ে যাবে বহুদূর।