শেষ আপডেট: 9th September 2024 14:40
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আর জি কর কাণ্ড নিয়ে ডাক্তার ও সমাজের সর্বস্তরের মানুষের আন্দোলনকে সোমবার বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা বলে ব্যাখ্যা করতে চাইলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ঘটনায় সাধারণ মানুষের ক্ষোভ পুলিশের উপর গিয়ে পড়েছে বলে নবান্ন থেকে এদিন বোঝাতে চান মুখ্যমন্ত্রী। অথচ ঘটনার পর থেকে পুলিশ ঠান্ডা মাথায় পরিস্থিতি সামাল দিয়ে চলেছে। মমতা পুলিশের পক্ষ নিয়ে বলেন, পুলিশ রক্ত দিয়েছে, কিন্তু রক্ত নেয়নি। সরকারি হাসপাতালের ডাক্তারদের পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালও পুলিশকে চিকিৎসা দিতে অস্বীকার করায় বেজায় ক্ষুব্ধ মমতা।
প্রশাসনিক বৈঠকে উপস্থিত স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমকে অভিযুক্ত বেসরকারি হাসপাতালগুলির সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, গত বুধবার রাতে বুকে ব্যথা নিয়ে অসুস্থ টালা থানার ওসিকে ভর্তি নিতে অস্বীকার করে চারটি বেসরকারি হাসপাতাল। অভিযোগ, অভিজিৎ মণ্ডল নামে ওই ওসিকে আর জি কর কাণ্ডে সুপ্রিম কোর্ট তলব করেছিল। তারপরই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।
এদিন তা নিয়ে বিস্তর ক্ষোভপ্রকাশ করেন মমতা। তিনি বলেন, ওদের এত সাহস কী করে হয়! নারায়ণ তুমি দেখো বিষয়টা। ওদের সঙ্গে কথা বলো। মমতা বলেন, চারটে বেসরকারি হাসপাতালের নাম আমার কাছে আছে। আমি তাদের ক্ষমতা দেখে অবাক হয়ে গেছি। পুলিশের একজন ওসি সে তো তোমার কাছে পেশেন্ট হিসেবে গেছে। তুমি তাঁকে ভর্তি নাওনি। এই হাসপাতালগুলোর কথা আমাদের মনে রাখতে হবে।
মমতা স্বাস্থ্যসচিবের কাছে বিষয়টি জানতে চান এবং জিজ্ঞাসা করেন যারা এরকম করেছিল তাদের বিরুদ্ধে কী অ্যাকশন নেওয়া হয়েছে? তারা তো টাকা নিয়ে করছে। মমতা আরও বলেন, অনেক ডাক্তার সরকারি হাসপাতালে কাজ করছেন না, কিন্তু বেসরকারি হাসপাতালে গিয়ে কাজ করছেন। সে ব্যাপারেও সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে মুখ্যমন্ত্রীকে জানান স্বাস্থ্যসচিব।
মমতা বেসরকারি হাসপাতালের ব্যবয়বহুল চিকিৎসা নিয়েও এদিন তোপ দাগেন। তিনি বলেন, চোখ কাটার অপারেশন করতে গেলেও এরা ২ লাখ টাকা নিয়ে নিচ্ছে। এগুলো তো মানবিক সমস্যা। এরপরেই তিনি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির উদ্দেশে বলেন, সবাইকে এই সমস্যার কথা বুঝতে হবে। মানুষ কিন্তু রাজনীতির ঊর্ধ্বে। রোগের কিন্তু কোনও বিচার হয় না। কারও যদি হার্টফেল করে, সে চিকিৎসা না পেলে সঙ্গে সঙ্গে মারা যাবে। যার ঘরে না হয়, সে এটা বুঝতে পারে না।