শেষ আপডেট: 24th October 2024 16:48
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ঘূর্ণিঝড় 'দানা'র কারণ সমুদ্রের চেহারা পুরো বদলে যাবে এটা স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু যে জলোচ্ছ্বাস দেখা যাবে তা হয়তো অনেকেই কল্পনা করতে পারছেন না। আবহাওয়া দফতর যে পূর্বাভাস দিয়েছে তাতে বলা হয়েছে, 'দানা' ল্যান্ডফলের সময়ে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে ঢেউয়ের উচ্চতা কমপক্ষে হতে পারে ১৪ থেকে ১৫ ফুট! বৃহস্পতিবার গভীর রাত থেকে শুক্রবার ভোরের মধ্যে 'দানা'র ল্যান্ডফল হওয়ার কথা। সেই সময়ই উপকূলে ঢেউয়ের উচ্চতা সবচেয়ে বেশি হবে।
এই মুহূর্তে পারাদ্বীপ থেকে ১৮০ কিলোমিটার, ধামারা থেকে ২১০ কিলোমিটার ও সাগরদ্বীপ থেকে ২৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব দিক অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড়। বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে শুক্রবার সকালের মধ্যে এটি তীব্র ঘূর্ণিঝড় হিসেবেই ওড়িশার ভিতরকণিকা ও ধামারার কাছে ল্যান্ডফল করবে। ল্যান্ডফলের সময় ঘণ্টায় এর গতিবেগ সর্বোচ্চ ১২০ কিলোমিটার হতে পারে। পুরী থেকে সাগরদ্বীপ পর্যন্ত বিস্তৃত হবে এর প্রভাব। এই সময়ই সমুদ্র মারাত্মক উত্তাল হবে। উপকূলবর্তী অঞ্চলে ১৪ ফুটের বেশি উচ্চতার ঢেউ আছড়ে পড়ার প্রবল সম্ভাবনা।
হাওয়া অফিস এটাও জানিয়েছে, ল্যান্ডফল হওয়ার পরবর্তী বেশ কয়েক ঘণ্টা 'দানা'র ভালই প্রভাব থাকবে উপকূল সহ ওড়িশা এবং বাংলার একাধিক জেলায়। বৃষ্টি চলবে শুক্রবার প্রায় সারাদিন। পশ্চিমবঙ্গ সরকার ইতিমধ্যে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে ক্ষয়ক্ষতি নিয়ন্ত্রণে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, রাতভর নবান্নে থেকেই তিনি গোটা দুর্যোগের মনিটরিং করবেন।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজ্য যে তৈরি তা স্পষ্ট করে মুখ্যমন্ত্রী এও বলেন, ২৪ ঘণ্টার জন্য নবান্নে হেল্পলাইন নম্বর (০৩৩) ২২১৪৩৫২৬ চালু করা হয়েছে। যে কোনও ধরনের সমস্যায় যে কেউ ফোন করতে পারেন। নবান্নের পাশাপাশি জেলাগুলিতেও ২৪ ঘণ্টার জন্য খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম।
অন্যদিকে ওড়িশায়, ক্ষয়ক্ষতি আটকাতে ২৮৮টি উদ্ধারকারী দল তৈরি করা হয়েছে। ১৪ জেলায় স্কুল বন্ধের পাশাপাশি ২০০-র বেশি ট্রেনও বাতিল করা হয়েছে। ল্যান্ডফলের সময়ে ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝড় হতে পারে। তা বেড়ে ১২০ কিলোমিটার পর্যন্তও হতে পারে।