শেষ আপডেট: 25th November 2023 11:53
দ্য ওয়াল ব্যুরো, সুন্দরবন: বাতাসে হিমেল হাওয়ার পরশ সবেমাত্র অনুভূত হয়েছে। বলা ভালো, শীতের ছোঁয়া লেগেছে মাত্র। এরই মধ্যে সুন্দরবন এলাকায় ভিড় জমাচ্ছে পরিযায়ী পাখিরা। তবে অন্যবারের তুলনায় সংখ্যায় নগন্য। পাখির সংখ্যা কমে যাওযায় মন খারাপ সুন্দরবনবাসীদের।
উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাট মহকুমার সন্দেশখালি, হিঙ্গলগঞ্জ, মিনাখাঁ, হাড়োয়া সহ সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে রয়েছে নদী, খাল, ঝিল, মেছো ভেঁড়ি এবং বিভিন্ন জলাশয়। যেখানে বেশ কিছু জায়গায় মৎস্য চাষ হয়। আর এই জলাশয়গুলিতেই গত কয়েক দিন ধরে পরিযায়ী পাখিদের দেখা মিলছে। তবে এই বছর সুন্দরবনের বিভিন্ন জায়গায় সংখ্যায় অনেক কম পরিযায়ী পাখি নজরে এসেছে। তাই আরও পাখির অপেক্ষায় এলাকাবাসীরা।
বিভিন্ন দেশের ৪০টির বেশি প্রজাতির পরিযায়ী পাখিদের এখানে দেখা মেলে। মদন টাক, স্যাংকল, হাঁস পাখি, সাদা বক, কুনো বক, কাকপাখি, ডুবুরি, মাছরাঙা, বাটাং, পানিকৌড়ি, বেকচো, ধাড়বক, কাকবক সহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখিরা বিভিন্ন জলাশয়ে শীত পড়তেই ভিড় জমায়। খাবারের সন্ধানেই তাঁরা সুদূর সাইবেরিয়া, বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান, এবং মায়ানমার থেকেও এ দেশে আসতে শুরু করে।
পরিযায়ী পাখির সংখ্যা কমার ক্ষেত্রে বিজ্ঞানীরা দু’টি বিষয়কে দায়ী করছেন। প্রথম হল পরিবেশ দূষণ। অন্যটি হল পাখিদের আসার জায়গাগুলি হারিয়ে যাওয়া। যত্রতত্র জলাশয় বুজিয়ে ফেলা হচ্ছে। জলাশয়ের ছোট হয়ে যাচ্ছে। ফলে, পরিযায়ী পাখির সংখ্যা কমছে। পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে এই ধরনের পাখিদের ভূমিকা অপরিসীম। তাই পরিবেশ বাঁচাতে গেলে পরিযায়ী পাখিদের আনাগোনা প্রয়োজন বলেই জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
সুন্দরবনবাসীর অভিযোগ, মেছো ভেড়ি সহ যে সকল জলাশয়গুলি রয়েছে, সেখানে মৎস্য চাষের সময় বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক ব্যবহার করা হয়। যার জন্য একেবারে বিলুপ্তির পথে চলে যাচ্ছে এই সকল পরিযায়ী পাখিরা। স্থানীয়রা চাইছেন, আবারও আগের মতো এলাকায় পরিযায়ী পাখিরা এসে ভিড় জমাক। তবে কি আবারও পরিযায়ী পাখিদের ভিড় জমবে? নাকি ধীরে ধীরে বিলুপ্তির পথে চলে যাবে ভিন দেশি পাখিদের আনাগানা? ইতিবাচক উত্তরের আশায় সুন্দরবনবাসী।