শেষ আপডেট: 8th December 2024 10:13
দ্য ওয়াল ব্যুরো: তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের রাজ্য সভাপতি তিনি। শনিবার তাঁর তথা ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Ritabrata Banerjee) নাম রাজ্যসভা নির্বাচনের প্রার্থী হিসাবে ঘোষণা করেছে তৃণমূল। তার পর দ্য ওয়ালকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সিপিএম (CPM) সম্পর্কে বিস্ফোরক সব কথা বললেন ঋতব্রত।
এই তরুণ শ্রমিক নেতা বলেন, “আমি সিপিএম-এ থাকাকালীন প্রশ্ন তুলেছিলাম যে সিপিএম-এর পার্টির অফিসে ভারতবর্ষের প্রথম বিপ্লবী শ্রী চৈতন্যের ছবি কেন থাকবে না? সিপিএমের পার্টি অফিসে ভারতবর্ষের যিনি প্রথম স্লোগান দিয়েছেন তাঁর ছবি কেন থাকবে না। প্রথম যিনি মিছিল করেছেন তাঁর ছবি কেন থাকবে না? সমস্যাটা অন্য জায়গায়। আমার যে ভাবনা, আমি যেভাবে ভাবতে চাইছি, সেই ভাবনার যে ম্যানিফেস্টেশন, তার ইজারা কেউ নিয়ে রাখতে পারে না। ইজারা নিতে নিতে এখন যেটা হয়েছে তা হল, দলের সাইনবোর্ডটা ভিজিটিং কার্ড হয়ে গেছে। ভিজিটিং কার্ডটা রবার স্ট্যাম্পে পরিণত হয়েছে”।
২০১৭ সালে ঋতব্রতকে দল থেকে প্রথম সাসপেন্ড পরে বহিষ্কার করেছিল সিপিএম। পুরনো দল সম্পর্কে তাঁর ক্রোধ হয়তো এখনও অন্তরে ধিকি ধিকি রয়েছে। সিপিএমকে চরম তুলোধনা করে এদিন ঋতব্রত বলেন, “আমি বললে কেউ বামপন্থী, না বললে কেউ বামপন্থী নন এটা করতে গিয়ে সিপিএম আপাতত টিভি চ্যানেলের সন্ধেবেলার টক শো-তে সীমাবদ্ধ হয়ে গিয়েছে। ভবিষ্যতে আরও কোথায় সীমাবদ্ধ হয় সেটা সিপিআইএম বলতে পারবে”।
ঋতব্রতর এহেন সব মন্তব্য নিয়ে সিপিএম নেতা শতরূপ ঘোষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তিনি ঋতব্রত ব্যাপারে কথা বলতেই আগ্রহ প্রকাশ করেননি। অন্যদিকে আরেক যুব নেতা সৃজন ভট্টাচার্য বলেন, 'গোটা দেশে যতগুলো রাজ্যে আমাদের বিধায়ক আছেন, তারচেয়েও বেশি তৃণমূলের নেতা এই মুহূর্তে জেলে আছেন চুরি, ডাকাতির দায়ে। সেই চুরি, ডাকাতিকে চাপা দিতে ঋতব্রত দাকে এখনও লেনিন আওড়াতে হচ্ছে এটা দেখে আমি আমোদ পেয়েছি। আমার অনেক শুভেচ্ছা রইল। বাকি ওঁর কথাকে কেন্দ্র করে আর কোনও উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন মনে করি না।'
আবার ঋতব্রতর কথায়, সিপিএম কী বলছে তা নিয়ে আমি ভাবিত নই। তিনি বলেন, “সিপিএম ট্রোল, মিম এসবে সিদ্ধহস্ত। ব্যক্তিগত আক্রমণেও সিপিএম সিদ্ধহস্ত। লাল শালু দিয়ে বামপন্থা মুড়ে রাখা এটা পৃথিবী জুড়ে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। নতুন ভাবনায় যদি প্রভাবিত হয় তবেই সিপিএমের ভাল হবে। সিপিএম হচ্ছে এখন জামানত জব্দ হয়ে যাওয়া পার্টি”।
তৃণমূলের শ্রমিক নেতার কথায়, “আমি এখন সিপিএম করি না। সিপিএম কী করবে কী ভাববে তার দায় আমার নয়, দায়িত্ব আমার নয়। বাংলায় কমিউনিস্ট পার্টি অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গিয়েছে। নেতারা আছেন মূলত টিভিতে বাইট দেওয়ার জন্যে, আর বিভিন্ন দলিল দস্তাবেজ নিশ্চয়ই তৈরি হচ্ছে। তবে ভোটে তার কোনও প্রভাব পড়বে না। ছাব্বিশের ভোটে আড়াইশ আসনে জিতবে তৃণমূল”।