শেষ আপডেট: 4th October 2024 21:57
দ্য ওয়াল ব্যুরো: দফতরের কাজ ছেড়ে অন্য দফতরের কাজ করা সম্ভব নয়। সরাসরি বিডিওকে চিঠি দিয়ে একথা জানিয়ে দিলেন সেচ দফতরের একজন ইঞ্জিনিয়র। ইতিমধ্যে ভাইরাল ওই চিঠি ঘিরে শোরগোল তৈরি হয়েছে।
ঘটনাটি বাঁকুড়ার সারেঙ্গার। সংশ্লিষ্ট এলাকার কংসাবতী ক্যানেলের মহকুমা সেচ আধিকারিকের তরফে এদিন সারেঙ্গা ব্লকের বিডিওকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে, এখন থেকে তাঁর দফতরে কর্মী-অফিসাররা নিজেদের দফতরের কাজই করবেন। অন্য দফতরের কাজ করতে পারবেন না।
প্রশাসন সূত্রের খবর, রাজ্য জুড়ে গ্রামীণ আবাস যোজনার বাড়ি বাড়ি সমীক্ষার কাজ চলছে। সারেঙ্গা ব্লকে ওই কাজে সেচ দফতরের কর্মীদেরই দায়িত্ব দিয়েছিলেন বিডিও। বিডিওকে লেখা চিঠিতে ওই দায়িত্ব প্রত্যাখ্যানের কথা জানিয়েছেন কংসাবতী ক্যানেলের মহকুমা সেচ আধিকারিক।
কারণ হিসেবে চিঠিতে তিনি লিখেছেন, দফতরের ২২ জনের মধ্যে ১৯ জন কর্মীকেই সেচের কাজ ছেড়ে গ্রামীণ আবাস যোজনার বাড়ি বাড়ি সমীক্ষার কাজ করতে হচ্ছে। এর ফলে সেচ দফতরের বহু কাজ আটকে পড়ে রয়েছে। তাই এখন থেকে নিজের দফতরের কাজ ছেড়ে অন্য কাজ করা তাঁদের পক্ষে সম্ভব নয়।
বস্তুত, রাজ্যের একাধিক জেলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। এখনও কিছু এলাকায় জল জমে রয়েছে। বন্যার কারণে সেচ দফতরের বহু পাম্প ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই দফতরের কাজ ছেড়ে অন্য কাজ করা সম্ভব নয় বলে আধিকারিককে জানিয়েছিলেন কর্মীরা। এরপরই বিডিওকে এদিন চিঠি দেন মহকুমা সেচ আধিকারিক।
মহকুমা সেচ আধিকারিকের ওই চিঠি ইতিমধ্যে সমাজমাধ্যমে ভাইরাল। অনেকের মতে, জুনিয়র চিকিৎসকরা এর আগে সরকারের চোখে চোখ রেখে কথা বলেছিলেন। এবার জেলাস্তরে প্রশাসনের বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন একজন সরকারি আধিকারিক। বিরোধীদের খোঁচা, সরকারি কর্মীদের নিজেদের কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। এ ঘটনা তারই প্রতিফলন।