শেষ আপডেট: 30th October 2021 08:48
দ্য ওয়াল ব্যুরো : ১৩ টি রাজ্যে ও কেন্দ্রশাসিত দাদরা ও নগর হাভেলিতে তিন লোকসভা কেন্দ্র ও ২৯ টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন (By election) হবে শনিবার। তার মধ্যে প্রায় প্রতিটি বিধানসভা আসনেই বিধায়করা দলত্যাগ করে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। তাই আসনগুলিতে উপনির্বাচন করাতে হচ্ছে। সেখানে ভোটগণনা হবে মঙ্গলবার। এদিন যে তিনটি লোকসভা কেন্দ্রে ভোট হবে, তার মধ্যে আছে হিমাচল প্রদেশের মান্ডি, মধ্যপ্রদেশের খান্ডোয়া এবং দাদরা ও নগর হাভেলি। তিনটি আসনেই সাংসদরা মারা গিয়েছেন। মান্ডির এমপি রামস্বরূপ শর্মা এবং খান্ডোয়ার এমপি নন্দকুমার সিং চৌহান মারা গিয়েছেন মার্চ মাসে। দাদরা ও নগর হাভেলির সাংসদ মোহন দেলকার আত্মহত্যা করেছিলেন বলে জানা যায়। মান্ডি ও খান্ডোয়া আসনদু'টি ছিল বিজেপির দখলে। দেলকার ছিলেন নির্দল সাংসদ। পশ্চিমবঙ্গে চারটি বিধানসভা আসনে ভোট হবে। তার মধ্যে কোচবিহারের দিনহাটা কেন্দ্রে গত বিধানসভা নির্বাচনে জিতেছিল বিজেপি। খুব অল্প ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিলেন তৃণমূলের উদয়ন গুহ। কিন্তু বিজেপির নীতিশ প্রামাণিক ওই আসন থেকে পদত্যাগ করেন। তিনি আগেই সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরে দিনহাটা বিধানসভা আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। বিধানসভা ভোটে জিতলেও তিনি পদত্যাগ করে সাংসদ পদটিই রেখে দিয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গের অপর যে বিধানসভা আসনগুলিতে উপনির্বাচন হবে, তার মধ্যে রয়েছে নদিয়া জেলার শান্তিপুর, উত্তর ২৪ পরগনার খড়দা ও দক্ষিণ ২৪ পরগণার গোসাবা। গত বিধানসভা ভোটে শান্তিপুর আসনেও জয়ী হয়েছিল বিজেপি। কিন্তু তারপরে পরিস্থিতি অনেক বদলে গিয়েছে। বেশ কয়েকজন বিজেপি নেতা-কর্মী যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। এই পরিস্থিতিতে দিনহাটা ও শান্তিপুর আসন ধরে রাখা বিজেপির কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। খড়দা আসনটি গুরুত্বপূর্ণ তৃণমূলের কাছে। সেখানে প্রার্থী হয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। গত বিধানসভা ভোটে তিনি ভবানীপুর থেকে জিতেছিলেন। কিন্তু পদত্যাগ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আসনটি ছেড়ে দেন। অসমে উপনির্বাচন হবে পাঁচটি বিধানসভা আসনে। তার মধ্যে আছে কোকরাঝোড় জেলার গোঁসাইগাঁও, বাকসা জেলার তামুলপুর, জোরহাট জেলার মারিয়ানি ও থোওরা এবং বরপেটা জেলার ভবানীপুর। গোঁসাইগাঁও এবং তামুলপুরের বিধায়ক মারা গিয়েছেন। অপর তিনটি আসনে বিধায়করা দলত্যাগ করে যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। রাজস্থানে বল্লভনগর ও ধারিয়াওয়াদ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে বোঝা যাবে, রাজ্যের কংগ্রেস সরকার স্থিতিশীল রয়েছে কিনা। ওই রাজ্যে দীর্ঘদিন ধরে মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলোটের সঙ্গে কংগ্রেসের অপর শীর্ষ নেতা শচীন পাইলটের বিরোধ চলছে।