শেষ আপডেট: 10th July 2024 13:33
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কামারহাটির ভাইরাল ভিডিও কাণ্ডে জেলবন্দি জয়ন্ত সিংকে ফের হেফাজতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানাল পুলিশ। পুলিশ সূত্রের খবর, ধৃতকে ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতে চেয়ে বুধবার আবেদন জানানো হচ্ছে।
সোমবার সন্ধে থেকে সোশ্যাল মাধ্যমে ভাইরাল হয় ১৩ সেকেন্ডের একটি ভিডিও (দ্য ওয়াল ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি)। তাতে দেখা যাচ্ছে, একটি ক্লাবঘরের মধ্যে এক তরুণীর হাত এবং পা ধরে রেখেছেন কয়েকজন। চ্যাংদোলা করে ঝুলিয়ে রাখা অবস্থাতেই লাঠিপেটা করা হচ্ছে!
ভাইরাল ওই ভিডিওর বিষয়ে মঙ্গলবার স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছিল পুলিশ। ওই ভিডিও থেকে পুলিশ আটজনকে চিহ্নিতও করে। ব্যারাকপুর কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনার অলোক রাজোরিয়া বুধবার সাংবাদিক বৈঠক করে জানান, ওই মারধরের ঘটনায় অভিষেক বর্মণ, সুভাষ বেরা এবং সুমন দে-সহ ছ’জনকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি দু’জনের খোঁজেও তল্লাশি চলছে।
পুলিশ জানিয়েছে, অন্য একটি মারধরের ঘটনায় আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল প্রধান অভিযুক্ত জয়ন্তকে। এবার এই মামলায় তাকে ফের হেফাজতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানানো হচ্ছে। পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন, ভিডিওটি যত পুরনোই হোক না কেন, ঘটনার তদন্ত করে অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
সম্প্রতি আরও একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। তাতে অন্ধকার ঘরে পিস্তল চালানোর প্রশিক্ষণ দেওয়ার ছবি সামনে এসেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই ঘটনাতেও আরও একটি মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হচ্ছে।
বিজেপির তরফে সোমবার কামারহাটিতে মারধরের ভিডিওটি পোস্ট করে দাবি করা হয়েছিল, ঘটনাটি কামারহাটির তালতলা ক্লাবের এবং অভিযুক্ত জয়ন্ত সিং কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রর ঘনিষ্ঠ। যদিও জয়ন্তর সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই বলে দাবি করে পরিস্থিতির জন্য পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা এবং দমদমের সাংসদ সৌগত রায়কেই দুষেছিলেন মদন। মদনের কথায়, "পুলিশ মারতে পারে, রাখতেও পারে। পুলিশ পারে না, এমন কোনও কাজ নেই।"
এদিকে ভাইরাল ভিডিওর বিষয়ে গত সোমবার অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন জয়ন্ত। তবে অন্য একটি মারধরের ঘটনায় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। এদিন ব্যারাকপুর আদালতে হাজির করানো হলে প্রধান অভিযুক্ত জয়ন্ত সিং অবশ্য এবিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।