প্রতীকী ছবি।
শেষ আপডেট: 6th November 2024 12:52
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ডেঙ্গি নিয়ে উদ্বেগ ছিলই। এবার দোসর হয়ে হাজির চিকুনগুনিয়া। শীতের মুখে নতুন করে রাজ্যের একাধিক জেলায় বাড়ছে মশা বাহিত রোগের দাপট।
স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত ১৭ হাজার ৬৩ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। শীতের মুখে নতুন করে একাধিক জেলায় সংক্রমনের উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। উদ্বেগ বাড়িয়ে হাজির চিকুনগুনিয়াও।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, মালদহে ২৪ জনের রক্তে চিকুনগুনিয়ার সংক্রমণ ধরা পড়েছে। ঘটনাটি হবিবপুর ব্লকের শ্রীরামপুর পঞ্চায়েতের কলাইবাড়ি গ্রামে।
প্রসঙ্গত, মালদহ জেলায় অক্টোবর পর্যন্ত ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ৯০৪ জন। নতুন করে চিকুনিগুনিয়ার দাপট দেখা দেওয়ায় উদ্বেগ ছড়িয়েছে স্বাস্থ্য আধিকারিকদের মধ্যেও। মশাবাহিত জোড়া মারণ রোগের মোকাবিলায় শুরু হয়েছে মশা নিধন পর্ব। স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জোর দেওয়া হয়েছে সচেতনতা প্রচারেও। বাড়ির আশেপাশে কোথাও জমা জল যেন না থাকে, হাত পা ঢাকা দেওয়া জামা পরার কথা বলা হচ্ছে। রাতে ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি ব্যবহার করার পরামর্শ দিচ্ছেন স্বাস্থ্য কর্তারা।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, পুজোর আগে থেকেই মালদহের শ্রীরামপুর পঞ্চায়েতের কলাইবাড়ি গ্রামে অজানা জ্বরের উপদ্রব দেখা দিয়েছিল। জ্বরের সঙ্গে মাথা ধরা, অসহ্য হাতে পায়ে ব্যথা। তবে প্রথমের দিকে অনেকেই এটিকে সাধারণ জ্বর ভেবেছিলেন। কিন্তু কারও কারও দু'সপ্তাহ পরেও জ্বর বা মাথা ব্যথার প্রকোপ না কমায় নতুন করে ব্লক স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে আক্রান্তদের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। তখনই জানা যায়, সাধারণ কোনও জ্বর নয়, গ্রামের অনেকেই চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত।
মূলত মশা থেকেই ছড়ায় ডেঙ্গি, চিকুনগুনিয়ার সংক্রমণ। পরিস্থিতি মোকাবিলায় আক্রান্তদের চিকিৎসার পাশাপাশি গ্রামে বসানো হয়েছে মেডিক্যাল ক্যাম্পও।
এদিকে সারা রাজ্যে ডেঙ্গুর প্রকোপের যে পরিসংখ্যান সামনে এসেছে তাও যথেষ্ট উদ্বেগের। মুর্শিদাবাদে আক্রান্তের সংখ্যা ৪ হাজার ৩২১। উত্তর ২৪ পরগনায় ১ হাজার ৯৬৩ জন। এরপরেই রয়েছে মালদহ। আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ৯০৪ জন। শহর কলকাতায় আক্রান্তের সংখ্যা ৮৩১ জন। তাই সময় থাকতে এলাকায় এলাকায় মশা নিধনের পরামর্শ দিচ্ছেন স্বাস্থ্য কর্তারা। একই সঙ্গে শুরু হয়েছে সচেতনতার প্রচারও।