শেষ আপডেট: 12th October 2024 11:11
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ফি-বারই টাকির ইছামতি নদীতে জমিদার বাড়ির প্রতিমা নিরঞ্জনকে ঘিরে মানুষের উৎসাহ-উন্মাদনা থাকে চোখে পড়ার মতো।
এবারেও তার অন্যথা হল না। নিয়ম তিথি মেনে বিজয়া দশমীর দিনে ঘরের মেয়ে উমাকে পান্তা ভাত, কচু শাক-সহযোগে ভোজন করিয়ে কৈলাসের উদ্দেশে পাঠালেন জমিদার বাড়ির সদস্যরা।
বাড়ির অন্যতম সদস্য শর্মিষ্ঠা ঘোষ জানান, "আমাদের এখানকার পুজোর বিশেষত্ব হল,দশমীর দিনে মাকে কচু শাক, পান্তা ভাত দিতেই হবে। এটাই মায়ের ভোগ। মা যাওয়ার আগে খেয়ে যাবেন। তারপরে সেই ভোগ বেয়ারারা খাবে। তারপরে অবশিষ্ট অংশ আমরা সকলে খাই।"
বিধি মেনে শনিবার ভোর পাঁচটা নাগাদ ঘরের মেয়ের মঙ্গল যাত্রা শুরু হয়। দালান থেকে প্রতিমা বের করে রাখা হয় বড় জমিদারি উঠোনে। সেখানে বাড়ির মেয়ে-বউরা একে একে উমাকে বরণ করেন। হয় সিদুঁর খেলাও। তারপরে ২৪ বেহারার কাঁধে চড়ে গ্রামের দু'কিলোমিটার পথ পরিক্রমা শেষে ইছামতী নদীর ঘোষবাবুর ঘাটে দুর্গার নিরঞ্জন করা হয়। সবশেষে মিষ্টি বিতরণ।
নিরঞ্জনেও রয়েছে নিয়ম। কেউ চাইলেই আগে প্রতিমা নিরঞ্জন করতে পারবেন না। শুরু হয় পূর্ব দিকের বাড়ি দিয়ে। এর পর একে একে ঘোষ বাড়ি, মুখার্জি বাড়ি, ব্যানার্জি বাড়ি সহ-একাধিক জমিদার বাড়ির প্রতিমা বিসর্জন হয়। প্রতিবারের মতো এবারও প্রতিমা নিরঞ্জনের সাক্ষী থাকতে উত্তর ২৪ পরগনার টাকিতে ইছামতীর পারে উপস্থিত ছিলেন অসংখ্য মানুষ।