Date : 14th Jul, 2025 | Call 1800 452 567 | info@thewall.in
ঝাড়গ্রামের জঙ্গল ফিরিয়ে আনছে প্রাণ, বাড়ছে হাতি-নেকড়ে-হরিণ, বনবিভাগে স্বস্তির হাওয়াEng vs Ind: চতুর্থ ইনিংসে ঋষভ পন্থের গড় ৫২, জাদেজা-সুন্দরদের পরিসংখ্যান কিন্তু ভীতিকরদু’বার বদলানো হয়েছিল ফুয়েল কন্ট্রোল ইউনিট, তাও ড্রিমলাইনার ভেঙে পড়ল কেন, উঠছে প্রশ্ন'ওরাই দেশটা শেষ করেছে!' কানাডায় আবর্জনা ফেলার ভিডিও ভাইরাল হতেই সমালোচনার মুখে ভারতীয়রানিমিশা প্রিয়ার মৃত্যুদণ্ড রদ একপ্রকার অসম্ভব, সুপ্রিম কোর্টে জানাল কেন্দ্র১৮ জুলাই মোদীর সভায় আমন্ত্রিত দিলীপ, শমীকের হাত ধরে মঞ্চে ফিরছেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতিসোনার গয়না বা রুপোর বাসন বন্ধক রেখে কী আর ঋণ নেওয়া যাবে না? নতুন ব্যাখ্যা রিজার্ভ ব্যাঙ্কেরসৌদি যাওয়ার টোপ! ১২ বছরের পাত্রী, ২০ বছরের বর, গোপন বিয়ের আসরে পুলিশের হানা‘তুমিই আমায় পূর্ণ করেছ!’ আলকারাজ-সিনারের দ্বৈরথের আড়ালে রয়েছে তীব্র প্যাশন, অটুট শ্রদ্ধাইজরায়েলি হামলায় মৃত্যুর মুখ থেকে বেঁচে গিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট, তাঁর সন্ধান কে দিয়েছিল
Kasba Incident

‘জেঠু’র হাত ছিল মাথায়, তাই এত ‘প্রভাবশালী’? কসবা কাণ্ডে অভিযুক্তর ভিডিও ঘিরে শোরগোল

বিজেপি বলছে, এই ভিডিওই তো বলে দিচ্ছে কেন এতদিন অভিযুক্ত ছিল ধরাছোঁয়ার বাইরে।

‘জেঠু’র হাত ছিল মাথায়, তাই এত ‘প্রভাবশালী’? কসবা কাণ্ডে অভিযুক্তর ভিডিও ঘিরে শোরগোল

ভাইরাল ভিডিওর অংশ বিশেষ।

শেষ আপডেট: 2 July 2025 08:45

দ্য ওয়াল ব্যুরো: কসবা আইন কলেজে (Kasba Incident) ছাত্রীর উপর গণধর্ষণের অভিযোগে উত্তাল শহর। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্রর (Manojit Mishra) মাথার উপর ‘জেঠু’র আশীর্বাদ ছিল বলেই কি এতটা দাপট? কারা তাঁকে ছাড়পত্র দিয়েছিল, কে ছিল তার রক্ষাকবচ—তা নিয়ে তীব্র রাজনৈতিক বিতর্কের মাঝেই সামনে এল এক চাঞ্চল্যকর ভিডিও (Video)।

ভাইরাল ওই ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, একটি কলেজ অনুষ্ঠানে কসবা গণধর্ষণকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ শাসকদলের একজন নেতাকে ‘জেঠু’ বলে সম্বোধন করছে। আর সেই নেতাই দক্ষিণ কলকাতা ল’ কলেজের গভর্নিং বডির প্রেসিডেন্ট ও তৃণমূল বিধায়ক অশোক দেব। ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, অভিযুক্ত ছাত্র তাঁর হাত ধরে ‘জেঠু’ বলে ডেকে উঠে যাচ্ছেন, আর অশোক দেব তাঁকে একরকম আশ্বাসের ভঙ্গিতে চেপে ধরে রাখছেন।

এই ভিডিও সামনে আসতেই নতুন করে বিতর্ক উস্কে দেন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। তাঁর দাবি, “এই ছেলেটিকে অশোক দেব নিজেই পিছনের দরজা দিয়ে কলেজে ঢুকিয়েছেন। শুধু তাই নয়, আরও তিন জনকে অনৈতিকভাবে কলেজে ঢোকানোর প্রমাণ আমাদের কাছে রয়েছে। ঘটনা ঘটার পর কলেজের ভাইস-প্রিন্সিপ্যাল যখন বিধায়ককে জানান, তখন তিনি শুধু বলেন, ‘সোমবার দেখব’। এত বড় কাণ্ড ঘটার পর একজন জন প্রতিনিধির এমন মন্তব্য কি মেনে নেওয়া যায়?”

যদিও এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন বিধায়ক অশোক দেব। তাঁর সাফাই, “ছেলেটিকে চিনতাম, কারণ সে কলেজে পড়ত। সেটা ছাড়া আমার কোনও ঘনিষ্ঠতা নেই। চেনা দু’রকমের হয়—একটা এমনি চেনা, আরেকটা খুব ভাল করে চেনা। ও ছিল আগেরটা।”

চাকরির বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “কলেজে এক জন লোক দরকার ছিল, তাই ওকে রাখা হয়েছিল। কোনও স্থায়ী পদে নয়। এখন চাকরি গিয়েছে, কলেজ থেকেও বহিষ্কার করা হয়েছে।”

এদিকে পুলিশের তরফেও আদালতে জানানো হয়েছে, অভিযুক্ত বেশ প্রভাবশালী। এমনকি বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় পর্যন্ত মন্তব্য করেছেন, “ওকে আমরা কেউ চিনতাম না। হয়তো কোনও মিছিলে পাশে দাঁড়িয়েছিল। আমার মনে হয় না, চন্দ্রিমার (স্বাস্থ্য দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী) সঙ্গে তার কোনও যোগাযোগ ছিল। আমি বিশ্বাস করি না, অশোক দেব ওকে প্রশ্রয় দিয়েছেন।”

তবে ভিডিওর এই দৃশ্য রাজনৈতিক জল আরও ঘোলা করেছে। তৃণমূল নেতৃত্ব দাবি করছে, শুধু ভিডিও দিয়ে প্রমাণ হয় না গভীর সম্পর্ক, আবার বিজেপি বলছে, এই ভিডিওই তো বলে দিচ্ছে কেন এতদিন অভিযুক্ত ছিল ধরাছোঁয়ার বাইরে।


ভিডিও স্টোরি